করোনা ভাইরাসের কারণে গত ১৬ মার্চ থেকে লেবানন লকডাউন, ২৯মার্চ পর্যন্ত চলার কথা থাকলেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় লকডাউনের মেয়াদ ১২ এপ্রিল পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়। এরমধ্যেও প্রতিদিন বেড়ে চলছে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা, তৃতীয় দফায় বাড়ানো হতে পারে লকডাউনের মেয়াদ।আজ শনিবার (৪ এপ্রিল) লেবাননের করোনা ভাইরাস সর্বশেষ আপডেট নতুন আক্রান্ত ১২ জন।মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৫২০ জন এবং মৃত্যুর সংখ্যা ১৭ জনে। করোনা ভাইরাস আক্রান্ত মৃত্যুর মধ্যে লেবানন ফিলিপাইনে রাষ্ট্রদূতও রয়েছে।
বাংলাদেশী ৩জন আক্রান্ত হলেও এখন পর্যন্ত কেউ মৃত্যু বরণ করেনি। এমন পরিস্থিতিতে আতংকে রয়েছেন প্রবাসীরা, পাশাপাশি জীবন-জীবিকা দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে নিন্ম আয়ের ও কর্মহীন প্রবাসীরা। এমন পরিস্থিতিতে এই যেন দেখার কেউ নেই।
বর্তমানে বিশ্বব্যাপী মহামারী আঁকারে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসে বিশ্বের প্রায় সব ক’টি দেশেই চলছে লকডাউন। মধ্যপ্রাচ্যের দেশ লেবাননেও একই অবস্থা। এর ফলে অনেক প্রবাসী বাংলাদেশী কর্মহীন হয়ে প্রায় গৃহবন্দী। লেবাননের মাটিতে অনাহারে- অর্ধাহারে মানবেতর দিন কাটাচ্ছেন গোল্ডেন বয় খ্যাত রেমিটেন্স যোদ্ধারা।দীর্ঘদিন যাবত লেবাননে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং আন্দোলনের কারণে এদেশে ডলার সংকটের প্রকট আকার ধারণ করে কিন্ত এই রেশ কাটতে না কাটতেই করোনা ভাইরাস (কোভিড ১৯) নামক আরেক আন্দোলন এসে হাজির। ডলার সংকটে দীর্ঘ আন্দোলনের ফলে অনেক প্রবাসী বাংলাদেশিরা কর্মহীন হয়ে পড়েছে। তার উপর আবার করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে আবার লকডাউন হয়ে পড়েছে দেশটি। এতে কর্মহীন হয়ে পড়েছে হাজার হাজার প্রবাসী।
কর্মহীন এসব প্রবাসীরা দু’বেলা দু’মুটো ভাতের জন্য তীর্থের কাকের মতো এদিক -সেদিক তাকিয়ে থাকে। যাদের খবর রাখেনি কেউ। যদিও প্রবাসী বিভিন্ন সংগঠন অসহায় প্রবাসীদের সহযোগীয় হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। বর্তমানে প্রায় এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজারের অধিক প্রবাসীর বসবাস লেবানন। এত বড় বিশাল জনগোষ্ঠীর মাঝে সামাজিক সংগঠন গুলা কোনভাবেই সহযোগিতার সাধ্য নেই। আর এ মূহুর্তে বাংলাদেশ সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন প্রবাসীরা।
করোনা নামক মরণঘাতী ভাইরাস থেকে বাঁচতে লেবাননের বিভিন্ন স্থানে মিলাদ ও দোয়া করে যাচ্ছেন লেবানন প্রবাসীরা।
লেবাননে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, সরকার বিরোধী আন্দোলনের কারণে ও বর্তমানে করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) ফলে বিভিন্ন কোম্পানি, অফিস আদালত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে বিমান চলাচল না থাকায় লেবানন সরকারের বিশেষ সুযোগে দেশে ফিরতে ইচ্ছুকরা দেশে ফিরতে না পেরে পরেছেন বিপাকে।
তারা দূতাবাসের প্রতি আকুল আবেদন করেন, তাদের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়ে তাদেরকে বাঁচিয়ে রাখতে অন্যথায় নিজ মাতৃভূমিতে প্রেরণ করতে।