এই প্রথম হেলিকপ্টার দেখলেন গোসাইরহাট উপজেলার ছোট কাচনা গ্রামের মানুষ। মায়ের ইচ্ছে পূরণ করতেই প্রবাসী ছেলের এই ব্যতিক্রমী আগমন। মাকে আনা হয়েছে হেলিকপ্টার করে। এমন খবরে শরীয়তপুর গোসাইরহাট উপজেলার ছোট কাচনা গ্রামে প্রথম হেলিকপ্টার ও মা-ছেলেকে দেখতে ভিড় করে গ্রামের মানুষজন।
রোববার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার নাগেরপাড়া ইউনিয়নের ছোট কাচনা গ্রামের খান বাড়ির মাঠ এমন ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা আরটিভি নিউজকে জানিয়েছেন, ছোট কাচনা গ্রামের মৃত মাস্টার মতিউর রহমান বাঘার ছেলে নিয়াজ মোর্শেদ রাজিব (৩৬)। একযুগ ধরে ইতালির রোমে থাকেন। তার মা নারগিস বেগমের (৬৫) স্বপ্ন পূরণ করতে ইতালি থেকে গতকাল শনিবার সকাল ৮টার দিকে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক শাহজালাল বিমানবন্দরে এসে নামেন। পরে রোববার দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা পুরাতন বিমানবন্দর থেকে হেলিকপ্টারে মাকে নিয়ে নিয়ে ছোট কাচনা গ্রামের খান বাড়ির মাঠ নামেন রাজিব। গ্রামের মানুষ তাদের মা-ছেলেকে ফুল দিয়ে বরণ করেন।
হেলিকপ্টারে মাকে আনা হবে এমন খবর আগেই প্রচার হয় গ্রামে। হেলিকপ্টার ও মা নারগিসকে দেখতে সহস্রাধিক মানুষ জড়ো হয় ছোট কাচনা এলাকায়। হেলিকপ্টার থেকে নেমে আসার পর মাকে নেওয়া হয় বাড়িতে। এমন দৃশ্য দেখতে সহস্রাধিক লোক ওই রাস্তায় জড়ো হয়। পরে গ্রামবাসীর মধ্যে মিষ্টি বিতরণ করা হয়।
গ্রামবাসীরা আরটিভি নিউজকে বলেন, আমাদের অজপাড়া গাঁয়ে এই প্রথম হেলিকপ্টার এসে নামল। আমাদের গ্রামের রাজিব তার মায়ের স্বপ্ন পূরণ করতে হেলিকপ্টারে করে গ্রামে এসেছেন। হেলিকপ্টার ও রাজিবের মাকে দেখতে এসেছি।
নিয়াজ মোর্শেদ রাজিব আরটিভি নিউজকে বলেন, আমার মায়ের স্বপ্ন ছিল হেলিকপ্টার গ্রামের বাড়িতে আসবে। মায়ের প্রতি ভালোবাসা থেকে চেষ্টা করেছি। মায়ের স্বপ্ন পূরণ করতে পেরে ভালো লাগছে, আনন্দ লাগছে। অনেক দিন পর গ্রামের লোকদের দেখে খুবই ভালো লাগছে। হেলিকপ্টারে আমি, মা, বোন, খালাতো ভাই ও খালাতো বোন এসেছি।
রাজিবের মা নারগিস বেগম বলেন, আমার আশা ও স্বপ্নপূরন করেছে ছেলে রাজিব। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি। ছেলের জন্য দোয়া করি, আপনারা দোয়া করবেন।
নাগেরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক আরটিভি নিউজকে বলেন, হেলিকপ্টারে করে রাজিব তার মাকে গ্রামে এনেছেন। হেলিকপ্টারের এমন খবর পেয়ে গ্রামের সহস্রাধিক মানুষ জড়ো হয়েছিল। এটা মায়ের প্রতি ছেলের অন্যরকম ভালোবাসা। সূত্র: আরটিভি