তিন কণ্যা সন্তানের জননী রুজিনা । কখনো ভাবেনি সে একদিন তার স্বামী তাকে ঘরে থেকে বের করে দিবে। ১১ বছরের বৈবাহিক জীবন এভাবে ভেঙ্গে যাবে। মুরাদনগর উপজেলার বাবুটিপাড়া ইউনিয়ন আব্দুল আলিমের সাথে দাউদকান্দি উপজেলার জিংলাতলী ইউনিয়নের মৃত দুধ মিয়ার মেয়ে রুজিনার বিবাহ হয়। প্রবাস জীবনে রুজিনা ছিলেন ৮ বছর । আট বছরের রুজিনার কষ্ট অর্জিত ২৫ লক্ষ টাকায় নির্মাণ করা হয় স্বামীর বাড়িতে বিল্ডিং । স্বামীর পরকিয়ায় বাধাঁ দেয়াই যেন তার কাল হয়ে দাঁড়ায়, তার সাথে যোগ হয় পর পর তিনটি কন্যা সন্তান হওয়া, এ যেন রুজিনার জীবনের বড় শাস্তি ।যেখানে নারীর অধিকার নিয়ে আমরা কথা বলি সেই সমাজ কি দিন দিন জাহেলিয়াতের দিকে চলে যাচ্ছে নাকি যে সভ্যতা নিয়ে আমরা গর্ব করি তার আজও অর্জন করতে পারেনি আমরা এখনও ।
সাত মাসের কন্যা শিশু তুফ্ফা ,আট বছরের হাবিব ও ছয় বছরের শিশু হাফসাকে নিয়ে রান্না ঘরে তার আশ্রয় হয় । সাজানো এক ডির্ভোস দেখিয়ে তাকে দেয়া হয় তালাক । যেখানে সভ্যতা কথা আমরা বলি সেখানে এমন নিষ্ঠুর আচরণ মেনে নিতে পারেননি সভ্য সমাজ । এই নিষ্ঠুরতাকে দেখে অনেক আতঁকে উঠলেও স্থান করে নিতে পারেনি স্বামী আব্দুল আলিমের একটি খানি হৃদয়ে। সাত মাসের ছোট্র শিশু জানেনা কেন তারা আজ ঘর ছাড়া ! না খেয়ে থাকার যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন রুজিনাসহ তার তিন কন্যা সন্তানকে । বইতে হচ্ছে সব কষ্ট !
রুজিনা এই করুনচিত্র দেখে সমাজের সকল নারীরা তার পাশে দাঁড়িয়েছেন,তারা চায় সুষ্ঠু বিচার !সমাজের সচেতন নারীদের সাহসী ভূমিকায় ছিলেন কুমিল্লা উত্তর জেলা সেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক লিটন সরকার এর আপনবোন ও সমাজকর্মী ফাহিমা আক্তার । রুজিনা পাশে দাড়ানোর কারণে তাকেও দেয়া হয় হত্যার হুমকি ! তাই তিনি সাধারণ ডাইরি করেছেন মুরাদনগ থানায় ।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান ,যে কোন ভালো কাজে সব সময় পাশে আছে পুলিশ ।তবে তাকে ঘরে তুলে নেবার বিষয়টি সামাজিকভাবে করতে হবে । রুজিনার নিরাপত্তার বিষয়টি প্রশাসন তদারকি করবেন বলে তিনি জানান ।