আরব উপদ্বীপের বিভিন্ন দেশে থাকা ঘাঁটিগুলোতে বিপুল পরিমাণ মার্কিন সৈন্য থাকা স্বত্ত্বেও উপসাগরীয় দেশগুলোর সরকার এই মিসাইল ব্যবস্থা সরিয়ে নেয়ার পরিকল্পনায় উদ্বিগ্ন বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়।
এদিকে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় ইরানের সাথে পরমাণু চুক্তি পুনর্জীবিত করতে নতুন করে আলোচনায় এই উদ্বেগ আরো বেড়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের রাইস বিশ্ববিদ্যালয়ের জেমস এ বেকার দ্য থার্ড ইনস্টিটিউট ফর পাবলিক পলিসির রেসার্চ ফেলো ক্রিস্টিয়ান উলরিকশেন বলেন, ‘পরিস্থিতির ধারণা নির্ভর করছে এক শীতল বাস্তবতার থাকা বা না থাকার ওপর। এবং বাস্তবতা স্পষ্ট যে এই অঞ্চলের সিদ্ধান্ত দেয়া কর্তৃপক্ষের মধ্যে অনেক লোকের ধারণা অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্র উপসাগরীয় দেশগুলোর কাছে কম প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
তিনি বলেন, ‘সৌদি দৃষ্টিভঙ্গি অনুসারে, ওবামা, ট্রাম্প ও বাইডেন- পরপর এই তিন প্রেসিডেন্টের নেয়া সিদ্ধান্ত কিছু পরিমাণে পরিত্যাগের চিহ্ন প্রকাশ করেছে।’
সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদের ১১৫ কিলোমিটার (৭০ মাইল) দক্ষিণ-পূর্বের বিমানঘাঁটি প্রিন্স সুলতান এয়ারবেসে বিপুল মার্কিন সৈন্যের সাথে সাথে মিসাইল হামলা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্যাট্রিয়ট ব্যাটারি মোতায়েন ছিলো।
আগস্ট মাসে স্যাটেলাইটে ধারণ করা ওই স্থানের ছবি এপির বিশ্লেষক দল দেখে, ওই স্থান থেকে প্যাট্রিয়ট ব্যাটারি সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
চীন ও রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন ‘বৃহৎ শক্তির সংঘর্ষে’ এই অস্ত্র ব্যবহারের জন্যই উপসাগরীয় দেশগুলোতে মোতায়েন মিসাইল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সরিয়ে নেয়া হচ্ছে বলে কয়েক মাস থেকেই গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল।
এদিকে মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কিরবি মিসাইল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সরিয়ে নেয়ার বিষয়ে নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, মধ্যপ্রাচ্যের মিত্রদের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ‘বৃহৎ ও গভীর’ প্রতিশ্রুতি রয়েছে।
অপরদিকে এক বিবৃতিতে সৌদি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় মার্কিন বাহিনীর প্যাট্রিয়ট ব্যাটারি সরিয়ে নেয়ার কথা স্বীকার করে।
বিবৃতিতে সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ককে ‘শক্তিশালী, দীর্ঘদিনের ও ঐতিহাসিক’ হিসেবে উল্লেখ করে বলা হয়, দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া ও প্রতিরক্ষা কৌশলের পুনর্বিন্যাসের ভিত্তিতে প্যাট্রিয়ট ব্যাটারি সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, নিজেদের ভূমি, সমুদ্রসীমা ও আকাশসীমা প্রতিরক্ষায় এবং তার জনগণকে রক্ষায় সৌদি সামরিক বাহিনীর সামর্থ্য রয়েছে।
সূত্র : আলজাজিরা