আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় কুমিল্লা নগরীর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে সাংবাদিক জালাল উদ্দীনের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশগ্রহণ করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য আ,ক,ম,বাহা উদ্দিন বাহার, কুমিল্লা সিটি মেয়র আরফানুল হক রিফাত, কুমিল্লা পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ সহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ অংশ গ্রহণ করেন। এর আগে কুমিল্লা প্রেস ক্লাবে জালাল উদ্দীনের কফিনে পুষ্প অর্পন সহ সংক্ষিপ্ত বক্তব্য ও আলোচনা করা হয়। সাংবাদিক জালাল উদ্দীন একজন সৎ ও পরিচ্ছন্ন মেধাবী সাংবাদিক ছিলেন। তার অকাল মৃত্যুতে পুরো কুমিল্লা শহরজুরে শোকের মাতম। তিনি কুমিল্লার প্রেস ক্লাবের কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য ও স্যাটেলাইট টেলিভিশন এন টিভির কুমিল্লার স্টাফ রিপোর্টার ছিলেন। বুধবার বিকেলে রাজাধানী ঢাকার একটি হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৫০ বছর। গত সোমবার তিনি মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়ে গুরতর অসুস্থ্য হলে প্রথমে কুমিল্লা নগরীর মুন হাসপাতাল ও মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানী ঢাকার একটি
শমরিতা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সাংবাদিক জালাল উদ্দিন পেশাগত জীবনে অত্যন্ত সৎ, মেধাবী, বিনয়ী ও পরিচ্ছন্ন ব্যক্তিত্বের অধিকারী ছিলেন। তাঁর লেখনী ও স্বচিত্র প্রতিবেদন সমাজ ও রাজনৈতিক অঙ্গণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
জালাল উদ্দিন সাংবাদিকতা পেশার পাশাপাশি কলেজের অ্যধাপক ও হোমিও চিকিৎসক ছিলেন। তার বাবা ছিলেন ঐতিহ্যবাহী কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের সাবেক জনপ্রিয় ইংরেজী শিক্ষক প্রয়াত অ্যধ্যাপক আবদুল মান্নান।সাংবাদিক জালাল উদ্দিনের পরিবার কুমিল্লা নগরীর মোগলটুলী এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা হলেও তাদের গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার পাক হাজীপুর গ্রামে। তার স্ত্রী এডভোকেট নিগার সুলতানা কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য ও এপিপি।
মৃত্যুকালে তিনি এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন।