ছেলের নামে সম্পত্তি লিখে না দেওয়ায় বিধবা বৃদ্ধা মা কে বেধরক মারধর করে গুরুতর জখম করল ছেলে সোহেল খাঁন কলিন ও তার স্ত্রী সানিয়া আক্তার। স্বজনরা জখম মাকে উদ্ধার করে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন । বর্তমানে বৃদ্ধা মা ছেলে ও পুত্রবধূর ভয়ে ঘরে ফিরতে পারছেন না। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ করলেও মামলা নেয়নি পুলিশ । ভুক্তভোগী মা বলেন, গত চার মাস আগে আমার স্বামী মৃত্যুর পূবেই আমার নামে বাড়িটি লিখে দিয়ে যান। এর পর থেকে জোরপূর্বক দিন দিন নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছেন ছেলে ও ছেলের বউ। কেউ বাধা দিতে আসলে তাকেও গালিগালাজ ও হত্যার ভয় দেখান । পরিবারের সম্মানের কথা ভেবে অত্যাচারের বিষয়ে এতদিন কাউকে বলিনি। সম্পদের লোভে আমাকে ছেলে এবং ছেলের বউ কিল ঘুসি মেরে যখম করে বাড়ি থেকে বের করে দেন । সমস্ত শরীরে আঘাতে রক্তাক্ত হয়ে যায়। ছেলে এবং ছেলের বউ, দশ বারোজন অপরিচিত লোক দিয়ে আমাকে মারধর করেন বাড়ী লিখে নেওয়ার জন্য । সংশ্লিষ্ট থানায় অভিযোগ করতে গেলে পুলিশ বিষয়টি আমলে না নিয়ে উল্টো আমার ছেলের মিথ্যা মামলা নিয়ে হামলার শিকার আমার বাগিনাকে গ্রেফতার করে পুলিশ । স্থানীয়রা বলেন, জোরপূর্বক বাড়ীর সম্পদ ও ভাড়া একাই ভোগের জন্য সোহেল খাঁন কলিন ও তার বউ প্রভাব খাটিয়ে শ্বশুর বাড়ীর লোকজনের সহায়তায় বাড়ীর মালিক বিধবা বৃদ্ধ মাকে মারধর করেন। মা খুবই নিরিহ মানুষ। তবে তার স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে পরিবরে সম্পদ ভাগাভাগি নিয়ে ঝগড়াবিবাদ হয় । তবে নির্মম ভাবে মাকে আঘাত করে বাড়ী থেকে বের করে দেন ছেলে ও ছেলের বউ। এগুলো কোন ভালো মানুষের কাজ নয়। তার বিচার হওয়া উচিত । ছেলে কলিন এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলে আমি আমার মাকে মারিনি অনাাকাঙ্খিত ভাবে লেগে গেছে। তবে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে । বিষয়টি নিয়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আবু সালাম মিয়ার সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি ক্যামেরার সামনে এ ব্যাপারে কোন কথা বলার অনুমতি নেই বলে এরিয়ে যান তিনি।