বিশ্বব্যাপী করোনা মারাত্বক আকার ধারন করেছে। প্রতিদিনিই মৃত্যুর মিছিলে যোগ হচ্ছে নতুন নাম। আবার অনেকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে কঠিন সময় পার করছেন।
করোনায় আক্রান্ত এমনই একজন ফিলিপাইনের নারীর গল্প জানব আজ, যার বসবাস জার্মানীর বার্লিনে। দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগের দেওয়া তথ্য মতে, এখন পর্যন্ত ফিলিপাইনে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১২১ জন।
বার্লিনে অধ্যায়নরত করোনা আক্রান্ত শিক্ষার্থী কেলি আবাগাত। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে তার জীবনের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার গল্প তুলে ধরছেন। করোনার লক্ষণ আসলে কি, বা করোনা হলে মানুষ কি কি সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে সেসব বিষয়গুলো তুলে ধরেছেন তিনি।
টুইটারে ২৪ বছর বয়সী কেলি লিখেছেন প্রথমে আমার গলা ব্যাথা হয়। যেহেতু আমার ঠান্ডা কোক আর মিস্টি অনেক পচ্ছন্দ তো বিষয়টিকে এতটা গুরুত্ব দেয়নি। মার্চের ১৪ তারিখে তার শরীরে প্রথম এ লক্ষণ প্রকাশ পায়। এরপর পরদিন শুরু হয় মাথাব্যাথা। গলা ব্যাথা থেকে মাথা ব্যাথার সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করেন তিনি।
এরপর শরীরের তাপমাত্রা দেখেন স্বাভাবিক আছে। তবে অন্যান্য দিনের তুলনায় বেশ আগেই ঘুমিয়ে পড়েন কেলি। এরপর কিছুক্ষণের জন্য ভয় পেয়ে যান। রাতের বেলা ফিলিপাইনে নিজের পরিবারকে ফোন দেন। পরদিন সকালে মেডিক্যাল টেস্ট করান । এরপর ৭ দিন পর টেস্টের ফলাফলে করোনা পজেটিভ আসায় পুরোপুরি ভেঙ্গে পড়েন কেলি। ওই ৭ দিন পুরোপুরি হোম কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন তিনি। তবে দূরে থাকা সত্ত্বেও পরিবার ও বন্ধুদের সমর্থন পেয়েছিলেন কেলি। এসময়ে বাড়িতে থেকে পুষ্টিকর খাবার পর্যাপ্ত পানি পান করেছেন কেলি। সব সময় একটি বিষয় মাথায় রেখেছেন যাই হোক করোনায় মৃত্যুবরণ করা যাবে না। তবে শ্বাসকষ্ট বা অন্য কোন ব্যাথা দেখা দিলে দ্রুত অ্যাম্বুলেন্স ডাকার নির্দেশনা দিয়েছেন কেলি।
সব নিয়ম মেনে চলে শেষ পর্যন্ত করোনা জয় করে পুরোপুরি সুস্থ হয়েছেন জার্মানীতে অধ্যায়নরত ফিলিপাইনের কেলি আবাগাত।