দশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সেচ প্রকল্প মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের বেড়িবাঁধ অরক্ষিত থাকবেনা বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পানি ব্যবস্থাপনা ফেডারেশনের সভাপতি ও মতলব উত্তর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ কুদ্দুস। রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে চাঁদপুরের মতলব উত্তরের মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্প বেড়িবাঁধে কাচারীকান্দি এলাকায় ভাঙ্গন কবলিত ক্ষতিগ্রস্থ স্থান পরিদর্শন করেন তিনি।
পরিদর্শনকালে তিনি আরো বলেন, জানের বিনিময় হলেও বেড়িবাঁধ রক্ষা করবো। কোন অপশক্তির কাছে মাথা নত করব না। বেড়িবাঁধ ও আশপাশের জায়গা এবং সেচখাল দখল করে যারা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করেছেন এতে বাঁধটি নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অনতিবিলম্বে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও মেঘনা নদীতে অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করেন।
পরিদর্শনকালে তত্তাবধায়ক প্রকৌশলী চাঁদপুর (পওর) সার্কেল মো. শফিকুল ইসলাম, মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মামুন হাওলাদার, মতলব উত্তর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহজাহান প্রধান, গাজী ইলিয়াছুর রহমান, জেলা যুবলীগ নেতা সাখাওয়াত হোসেন গাজী, মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. সালাউদ্দিন আহমেদ, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মিরাজ খালিদ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের যুগ্ম আহবায়ক আ. রহিম প্রধান, তাঁতী লীগ নেতা ইব্রাহিম, উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা নিয়াজ মোর্শেদ ছোটন, সুজন ভূঁইয়া প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ১৯৮৬ সালে মতলব উত্তরে ১৭ হাজার হেক্টর জমি নিয়ে মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্প চালু হয়। এই প্রকল্প অভ্যন্তরে কৃষকের জমি ও বিভিন্ন স্থাপনা নিরাপদ রাখতে ৬৬ কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণ করা হয়। তাছাড়া প্রকল্প অভ্যন্তরে পানি সরবরাহ ও নিষ্কাশনের জন্য উদমদী ও কালিপুরা এলাকায় পৃথক দুটি সুইস গেইট স্থাপন করা হয়।