ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দাউদকান্দির বলদাখাল মহাসড়কের মাঝখানের কাটা অংশে সৃষ্ট হওয়া বড় গর্ত নিজ উদ্যোগে ভরাট করলেন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (দাউদকান্দি সার্কেল) মো: জুয়েল রানা। দাউদকান্দির গোমতী ব্রিজের নীচে কোন ইউটার্ন না থাকায় প্রতিদিন শত শত প্রাইভেট কার, বাস, বালু বোঝাই ট্রাক, সিএনজি, অটো, পথচারী মহাসড়কের এই কাটা অংশ দিয়ে পারাপার হচ্ছে। এই মাত্রাতিরিক্ত চাপের ফলে এই অংশ দেবে গিয়ে বড় গর্তের সৃষ্ট হয়েছিলো। এতে করে চরম ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করত যানবাহন। বিভিন্ন সময়ে বহু দূর্ঘটনা ঘটেছে। ভবিষৎতে বড় ধরণের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। সোমবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় জনদূর্ভোগ ও দুর্ঘটনার কথা চিন্তা করেই সার্কেল এএসপি মো: জুয়েল রানা ট্রাকবোঝাই ইট ও বালু নিয়ে এসে মহাসড়কের এই কাটা অংশ ভরাট করছেন। এ কাজে তাকে সাহায্য করছে ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মো: নুরুল আলম, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর ফরিদ উদ্দিন, সার্জেন্ট মুজাহিদুল ইসলাম, উপজেলা শ্রমীক লীগের সভাপতি ও পৌল কাউন্সিলর মো: রকিব উদ্দিন এবং পুলিশের একটি টিম। প্রশংনীয় এই উদ্যোগের বিষয়ে সার্কেল এএসপি মো: জুয়েল রানা বলেন, জনকল্যাণমুখী যেকোন কাজ সবার দায়িত্বেই পড়ে। আর ভালো কাজ মানসিক শান্তি দেয়। এখানে যে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে তাতে এর আগেও দূঘটনা ঘটেছে, সামনে আরো ঘটতে পারে। কারণ এই কাটা অংশ দিয়ে প্রতিদিন ঢাকা-চাঁদপুরের শত শত গাড়ি পারাপার হয়। দাউদকান্দি বালুমহল থেকে প্রতিদিন শত শত বালু বোঝাই ট্রাক রং রুট দিয়ে এসে এই কাটা অংশ ব্যবহার করে কুমিল্লা রোডে ঢুকে। পাশাপাশি মহাসড়কের এই অংশে কোন ওভার ব্রিজ না থাকায় দাউদকান্দি থানার ৭ টা ইউনিয়নের ২ লক্ষাধিক মানুষ বিভিন্ন প্রয়োজনে এই কাটা অংশ ব্যবহার করে উপজেলা সদরে আসে। আপাতত আমরা আমাদের সাধ্যমত চেষ্টা করেছি গর্ত ভরাট করার। তবে কর্তৃপক্ষের নিকট আমাদের আকুল আবেদন থাকবে গোমতী ব্রিজের নিচে দাউদকান্দি অংশের ইউটার্ন ও এই জায়গায় একটি ওভার ব্রিজ করে এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান করার।