কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলায় করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে অগ্রণী ভূমিকা রাখায় দাউদকান্দি উপজেলায় কর্মরত সহকারী কমিশনার ( ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিট্রেট মোহাম্মদ সেলিম শেখ এর ভূয়সী প্রশংসা করেছেন ভূমি মন্ত্রণালয় সচিব মাকছুদুর রহমান পাটওয়ারী।
জানা যায়, করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশনায় সময়ের সম্মুখ যোদ্ধা হিসেবে লড়াই করে যাওয়ায় ভুমি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানিয়ে সুপারিশ পত্র (ডিও লেটার) পাঠিয়েছেন ভুমি মন্ত্রণালয় সচিব মাকছুদুর রহমান পাটওয়ারী।
গত ১০ জুন বৃহস্পতিবার সচিবের স্বাক্ষরিত ডিও লেটারটি দাউদকান্দি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিট্রেট মোহাম্মদ সেলিম শেখ মঙ্গলবার হাতে পেয়েছেন। এ বিষয়ে এসিল্যান্ড ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিট্রেট মোহাম্মদ সেলিম শেখ বলেন এ স্বীকৃতি নতুন কাজের জন্য আমাকে অনুপ্রেরণা জোগাবে। আমি সামনে আরো ভালো কিছু করার চেষ্টা করবো। উল্লেখ্য, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে যখন সারা বিশ্ব বিপদগামী, ঠিক তখনই দাউদকান্দি উপজেলায় করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রথম থেকেই কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেন উপজেলা প্রশাসন। উপজেলা প্রশাসনের প্রতিটি পদক্ষেপে সম্মুখ যুদ্ধা হিসেবে কাজ করছেন এ এসিল্যান্ড ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিট্রেট।সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতকরণ, স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলা, জনসচেতনতা সৃষ্টিসহ সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে দিন-রাত নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন তিনি। সরকারের সময়ে সময়ে জারীকৃত নির্দেশনা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করছেন। অভিযানের সময় সার্বক্ষণিক বাজার মনিটরিং করে দ্রব্যমূল্য ক্রয় ক্ষমতার ভিতরের রাখতে, অবৈধভাবে মাটি কাটা বন্ধ করতে কঠোর ভূমিকা পালন করেছেন। তারই স্বীকৃতিস্বরু এসিল্যান্ডকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ভুমির সর্বোচ্চ কর্মকর্তা। সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ সেলিম শেখ ডিও লেটারটি পেয়ে সূচনা ডট টিভিকে জানান, “যে কোন স্বীকৃতি কাজে অনুপ্রেরণা জোগায়। আর সে স্বীকৃতি যদি হয় মন্ত্রণালয়ের সর্বোচ্চ কর্তাব্যক্তির নিকট থেকে তবে শ্রদ্ধায় হৃদয় বিগলিত হয়। পরম শ্রদ্ধেয় ভূমি সচিব জনাব মো: মাকছুদুর রহমান পাটওয়ারী স্যারকে আন্তরিক ধন্যবাদ।
করোনা মহামারীসহ সকল সময়ে সরকারের অর্পিত দায়িত্ব শতভাগ আমানতদারিতার সাথে পালনের চেষ্টা করেছি। আল্লাহর কাছে সবসময় দোয়া করেছি যেন দায়িত্ব পালনে সবসময় সততা ও নিষ্ঠার পরিচয় দিতে পারি। এসিল্যাণ্ড হিসেবে সবসময় সরকারি স্বার্থ ও সম্পদ রক্ষার চেষ্টা করেছি। যে কাজ করেছি তা আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করেছি মাত্র।”