তুমি চিকিৎসক হয়ে দেখিয়ে দিলে এই বাংলায়
গেয়ে গেলে মানবতার জয়ও গান,
আল্লাহর ভয়ে দ্বায়িত্বপালনে করনি তুমি
জনতার সেবায় করোনা ভাইরাসের ভয় ।।
তোমাকে এ জাতি ভুলবেনা
হে -চিকিৎসক মঈন উদ্দিন স্যার ।।
দ্বীনের পথে আলোকিত গানে কর্মজীবনে দিলে তার প্রতিদান
হে আমাদের প্রিয় চিকিৎসক, তোমার এই কর্মকে কবুল করুক
মহান আল্লাহ তা;লা মেহেরবান ।
কবিতা: আবু তাহের নয়ন
নভেল করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মঈন উদ্দিন মৃত্যুবরণ করেছেন। আজ (বুধবার) সকাল পৌনে ৭টায় রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরুর পর এই প্রথম কোনো চিকিৎসকের মৃত্যু হল। কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের উপপরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এবিএম বেলায়েত হোসেন জানিয়েছেন, “কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে ডা. মঈন উদ্দিন আমাদের এখানে এসেছিলেন। গত তিন দিন তাকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল। রেসপিরেটরি ফেইলিওরের কারণে আজ তার মৃত্যু হয়।”৫ এপ্রিল ডা. মঈন উদ্দিনের করোনাভাইরাস সংক্রমণের বিষয়টি নিশ্চিত হয়। এরপর থেকে তিনি সিলেট শহরে নিজ বাসায় কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন। কোয়ারেন্টাইনের আওতায় নিয়ে আসা হয় তার পরিবারের বাকি সদস্যদেরও। এছাড়া তার বাড়ির এলাকা লকডাউন করে দেয়া হয়। পরে, শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ৭ এপ্রিল তিনি নগরীর শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি হন। শারীরিক অবস্থা উন্নতি না হওয়ায় ৮ এপ্রিল সেখান থেকে চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকার কুর্মিটোলা হাসপাতালে নেয়া হয়।এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ডা আনিসুর রহমান জানান, ডা. মঈন উদ্দিন আগে থেকেই ভেন্টিলেশনে ছিলেন। সংক্রমণ তার হার্টে ছড়িয়ে পড়েছিল। মঙ্গলবার রাত থেকে তার শরীর বেশি খারাপ করে। আজ সকাল পৌনে সাতটায় তাঁর মৃত্যু হয়।ডা. মঈন উদ্দিন সিলেটে শনাক্ত হওয়া প্রথম কোভিড-১৯ রোগী। কীভাবে তিনি সংক্রমিত হলেন, সে বিষয়ে কোনো তথ্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর প্রকাশ করেনি।