বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:২৪ অপরাহ্ন

ফান্ডে পয়সা নাই, চীন থেকে ফিরতে হবে নিজ দায়িত্বে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

সূচনা টিভি ডেস্ক
  • Update Time : মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০২০
  • ৪৬৬ Time View

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, নভেল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে চীন থেকে বাংলাদেশি কাউকে এই মুহূর্তে সরকারিভাবে দেশে ফেরানো হচ্ছে না। ব্যক্তিগত খরচে কেউ ফিরলে পরবর্তী ব্যবস্থা সরকার নেবে।
তিনি বলেন, আগে আমরা যাদের এনেছি, তিন কোটি টাকা আমার প্লেন ভাড়া দিতে হয়েছে, আমার ফান্ডে আর কোনো পয়সা নাই।
মঙ্গলবার রাজধানীর শাহবাগে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এই কথা বলেন।
করোনাভাইরাসের কারণে চীনের উহান থেকে গত ১ ফেব্রুয়ারি ৩১৬ বাংলাদেশিকে বাংলাদেশ বিমান দেশে ফেরত আনা হয়। তাদের মধ্যে ১১২ জনকে গত দুই সপ্তাহ ধরে আশকোনার হজক্যাম্পে এবং চারজনকে হাসপাতালে রাখা হয়েছে। উহানের পাশের শহর ইচাংয়েও আটকে আছেন ১৭২ জন, তারাও দেশে ফিরতে আগ্রহী।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রশ্ন হচ্ছে আমরা প্লেন পাঠিয়ে ওদের আনব কি-না, জনগণের টাকা খরচ করে ওদেরকে আনব কি-না। আমরা খুব সংবেদনশীল, তাদের বাবা-মা অনেকে বলছেন তাদেরকে নিয়ে আসার জন্য। আমরা তাদেরকে বলেছি, আপনারা যদি নিয়ে আসেন, আমাদের কোনো আপত্তি নাই। তারা আসলে আসতে পারে।
চীনে আটকে থাকা বাকিদের ফেরানোর ক্ষেত্রে টাকাই একমাত্র সঙ্কট কি না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘নট নেসেসারিলি। এরা যদি হজ্জক্যাম্প থেকে বের না হয়, বাকিদের কোথায় রাখব?’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘খুব কম দেশ- যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাপান, ভারত, সিঙ্গাপুর- এরকম কয়েকটি দেশ তাদের লোকদের ফিরিয়ে নিয়েছে। বাকি শত শত দেশের লোকেরা তাদের ওখানে আছে। চায়নিজরা ওদেরকে সাবধান করে দিয়েছে এবং দে আর টেকিং কেয়ার অব ইট।’
সেন্টমার্টিনের পশ্চিমে বঙ্গোপসাগরে রোহিঙ্গাদের বহনকারী মালয়েশিয়াগামী যাত্রীবাহী ট্রলার ডুবে মারা যাওয়া ১৫ রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে নয় বরং বাইরে অবস্থান করে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টা করছিল বলে জানান এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, আগের রোহিঙ্গারা ১৯৯২ সালে এসেছে। তারা অনেকে ক্যাম্পে আছে, বাইরেও অনেকেই আছে। হয়তো বাইরে থাকা রোহিঙ্গারা অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টা করছিল বলে এমন ঘটনা ঘটেছে। তবে মুত্যুর বিষয়টি দুঃখজনক।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা যথেষ্ট নিরাপত্তা রেখেছি, যারা আমাদের ক্যাম্পে আছে। তাদের (রোহিঙ্গাদের) আমরা ইদানীং কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে রাখতে চাচ্ছি। তারপরও বিষয়টি আমরা দেখব।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© All rights reserved © 2019 Suchana Community TV
themebazsuchana231231