পাকিস্তান নামক যে রাষ্ট্র একদিন বাংলা ভাষাভাষী মানুষের অধিকারকে কেড়ে নিতে চেয়েছিল, যাদের বন্দুকের নলকে উপেক্ষা করে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে বাঙালিরা প্রতিষ্ঠিত করেছিল মাতৃভাষার অধিকার সেই পাকিস্তানেও লেগেছে একুশের উত্তাপ। বাংলাদেশের ভাষা শহীদ দিবসকে বিশ্বের আর সব দেশের মতো করেই আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালন করছে তারাও। পাকিস্তানের গণমাধ্যমগুলো থেকে জানা যায়, মাতৃভাষার গুরুত্বকে প্রাধান্য দিয়ে সেখানে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে সেমিনার, আলোচনা সভা, উৎসব ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের আয়োজন করা হয়েছে।ইসলামাবাদে বাংলাদেশ হাইকমিশন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও বাংলাদেশের ভাষাশহীদ দিবস উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। এদিকে ফেডারেল রাজধানী ইসলামাবাদে পাকিস্তান ন্যাশনাল কাউন্সিল অব আর্টস (পিএনসিএ) ২১ থেকে ২৩ ফেব্রুয়ারি মাতৃভাষা সাহিত্য উৎসবের আয়োজন করেছে। তিন দিনের ওই উৎসবে ভাষা ও সাহিত্যের ভিন্ন ভিন্ন দিক নিয়ে বক্তারা কথা বলবেন। অনুষ্ঠিত হবে আলোচনা ও প্রদর্শনী। এছাড়া আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ইসলামাবাদের লোক ভিরসা জাদুঘর এক আলোচনা সভার আয়োজন করেছে। এছাড়া পাকিস্তানের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মাতৃভাষার গুরুত্ব তুলে ধরে বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালের ১৬ মে তারিখে জাতিসংঘের সাধারণ সভায় এ/আরইএস/৬১/২৬৬ নম্বর নথি অনুসারে, সকল সদস্য দেশের উদ্দেশে, ‘বিশ্বের সকল ভাষার সংরক্ষণ এবং সুরক্ষার বিষয়টি’ প্রচার করতে বলা হয়। একই নথিতে ভাষাসমূহের মধ্যে বহুভাষা এবং বহু সংস্কৃতির মধ্যে বহুমুখিতার ঐক্যবদ্ধতা গড়ে তোলার লক্ষ্যে ২০০৮ সালকে ‘ভাষাসমূহের আন্তর্জাতিক বছর’ বলে ঘোষণা করা হয়।