সাগরে সাঁতার কাটছে ডলফিন। তিন দশকে এমন দৃশ্য চোখে পড়েনি।
করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতে পর্যটক ও স্থানীয়দের ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এক সপ্তাহ ধরে চলা নিষেধাজ্ঞার ফলে সৈকতে ফিরে এসেছে প্রাকৃতিক পরিবেশ। আর এই সুযোগে ডলফিনের দল সৈকতে এসে খেলা করছে।
শনিবার সকালে কলাতলী পয়েন্টে গিয়ে দেয়া যায়, সেখানকার নীল জলে বিরল প্রজাতির ১০ থেকে ১২টি ডলফিন লাফিয়ে লাফিয়ে খেলা করছে। সমুদ্রপাড় থেকে খেলা করার দৃশ্য পরিষ্কার দেখা যায়।
কয়েক দিন আগে কয়েকজন সার্ফার সমুদ্র সৈকতে গিয়ে ডলফিনের খেলা প্রথম প্রত্যক্ষ করেন। মাহাবুবুর রহমান নামের এক সার্ফার ডলফিনের ওই খেলার দৃশ্য ভিডিও করেন; যা ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
কলাতলী পয়েন্টে কথা হয় দরিয়ানগর এলাকার বাসিন্দা আবুল কাশেমের সঙ্গে। তিনি জানান, এখন প্রতিদিনই ডলফিনের দল কলাতলী পয়েন্টের নীল জলে খেলা করছে। এছাড়া এদিন সকালে তিনি হিমছড়ি সমুদ্র সৈকতে ডলফিনের একটি দল দেখতে পান।
এই দলে বাচ্চাসহ ১০ থেকে ১২টি ডলফিন ছিল। ডলফিনের খেলা করার দৃশ্য প্রথম ধারণ করা স্থানীয় সার্ফার মাহবুবুর রহমান জানান, এর আগে কখনও তিনি কক্সবাজার সৈকতে ডলফিনের খেলা দেখেননি। স্থানীয় কয়েকজন জানান, গত ৩ দশকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে কখনও ডলফিনকে খেলা করতে দেখা যায়নি।
এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে সৈকতে পর্যটক ও স্থানীয়দের পদচারণা বন্ধ রেখেছে স্থানীয় প্রশাসন। এ কারণে দূষণ একেবারেই কমে গেছে। মূলত দূষণ ও পর্যটক না থাকায় সৈকতে ডলফিন আসছে।