কুমিল্লার দাউদকান্দি ও তিতাসে করোনা পজেটিভ রোগী সনাক্ত হওয়ায় লকডাউন শতভাগ কার্যকর করতে দুই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, দুই উপজেলা প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও থানা প্রশাসনের কর্মকর্তা এবং রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে নিয়ে এক যৌথ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ১৪ এপ্রিল মঙ্গলবার তিতাসের জিয়ারকান্দি ইউনিয়নের জিয়ারকান্দি বেইলি ব্রিজের উত্তর প্রান্তে যৌথ বৈঠকে দাউদকান্দি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মেজর (অব.) মোহাম্মদ আলী সুমন, তিতাস উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো: পারভেজ হোসেন সরকার,তিতাস উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাম্মৎ রাসেদা আক্তার, দাউদকান্দি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) মোহাম্মদ সেলিম শেখ, তিতাস থানার ওসি সৈয়দ মো: আহসানুল ইসলাম, ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মো: সহিদুল ইসলাম, গৌরীপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আ.স.ম. আব্দুন নূর, দাউদকান্দি উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান রোজিনা আক্তার, তিতাস উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ শওকত আলী, সাধারণ সম্পাদক সম্পাদক মোহাম্মদ মহসীন ভুইয়া, গৌরীপুর বাজার কমিটির সভাপতি হাজ্বী মোঃ ওমর আলী ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ নোমান মিয়া সরকার সহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। যৌথ বৈঠকে জনস্বার্থে শতভাগ লকডাউন কার্যকর করতে বিশেষ করে গৌরীপুর বাজার ও জিয়ারকান্দি সেতুতে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়। এখানে একে বারে অতি গুরুত্বপূর্ন কারন ছাড়া কেউ যাতায়ত করা যাবে না সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় এবং যারা বিশেষ কারন দেখিয়ে পাড়াপাড় হবেন তাড়া সেতুর দু’প্রান্তে দুই থানার দুটি পুলিশি চেকপোস্টের অনুমতি সাপেক্ষে যাতায়ত করবেন। তবে প্রশাসনিক কর্মকর্তা,জনপ্রতিনিধি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, এ্যাম্বুলেন্স, ঔষধ ও সাংবাদিক পরিবহন গাড়ি জাতীয় নির্দেশনার অন্তর্ভুক্ত থাকবে। বৈঠক শেষে দুই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নিজ নিজ বক্তব্য রাখেন। বৈঠকের শেষ পর্যায়ে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার মোঃ রফিক এর নেতৃত্বে একটি টিম দুই উপজেলা চেয়ারম্যানের সাথে নিরাপত্তার খোজ খবর নেন।