রমজানের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সারাদেশের হোটেলগুলো কেমন ছিলো তা হয়তো অনেকের চোখে না পড়লেও, দিনের বেলা রমরমা হোটেল ব্যবসা ছিলো চোখে পড়ার মতো । দিনের বেলা হোটেল খোলা রেখে পর্দার আড়াঁলে খাবারের আয়োজন রিতিমত তামাসা মনে করেছেন অনেকেই । উপজেলার গৌরীপুর বাজারে গিয়ে দেখা যায় প্রকাশ্যে হোটেলের খাবার খাওয়া,এমনকি এটাকে স্বাভাবিক মনে করে হোটেল ব্যবসা চালিয়েছেন হোটেল ব্যবসায়ীরা। বিরানীর হোটেলগুলোতে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রচুর ভীড় দেখা গেছে । হোটেলের ভিতরে বসেই প্রকাশ্যে খাবার খাচ্ছেন কেউ কেউ । এই ক্ষেত্রে হোটেলগুলোর কর্মচারীরা সহযোগিতা করেছেন পর্দা ঢেঁকে । রেস্টুরেন্টে,চা দোকানে বিড়ি-সিগারেট খাওয়া দৃশ্য দেখে মনে হবে এটা রমজান মাস চলছে কিনা ? মহান আল্লাহ ভয় যদি থাকতে তাহলো হয়তো ব্যবসায়ীরা এমন আচরণ করতো না রমজান মাসে ।
রমজানের এই মাসেও কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত দৃশ্য চোখে পড়েছিলো সবার। হোটেলের বাইরে পর্দা ঝুলিয়ে ভিতরে খাবার দাবারের রমরমা আয়োজন ও গুলোর একটি। এমন পর্দা ঝুলিয়ে গোপন খাবার ব্যবসায় ইসলাম কি বলে?
মহান আল্লাহ তা,আলা বলেন, ‘এসব স্মরণ রেখ। আর কেউ আল্লাহর নিদর্শনাবলী কে সম্মান করলে এটা তো অন্তরস্থ তাকওয়া থেকেই অর্জিত হয়’।সুরা হাজ্জ, আয়াত,৩২
আর রমজান তো আল্লাহ তা’আলার নিদর্শনাবলীর অন্তর্ভুক্ত। রমজানের সম্মান রক্ষা করাও প্রতিটি মুসলিমের আবশ্যক কর্তব্য। তাই রমজানে দিনের বেলায় প্রকাশ্যে হোটেল খোলা রেখে ব্যবসা চালিয়ে যাওয়া অনুচিত। যারা শরীয়ত সম্মত বিভিন্ন কারণে রোযা রাখতে অক্ষম তাদেরও উচিত প্রকাশ্য খাবার দাবার পরিত্যাগ করা। তবে বিকেলে ইফতারের পূর্বে হোটেল খোলা রেখে ইফতার সামগ্রী বিক্রি করা বৈধ। এতে অসুবিধার কিছু নেই। বিস্তারিত দেখুন, ফতোয়া রহীমিয়া, প্রশ্ন নং,২৪৬।