দাউদকান্দির বাণিজ্যিক প্রাণকেন্দ্র গৌরীপুর বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ২৩ টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আনুমানিক আড়াই টায় এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। খবর পেয়ে দাউদকান্দি, চান্দিনা ও হোমনা ফায়ার সার্ভিসের মোট ৫ টি ইউনিট দীর্ঘ ৪ ঘন্টা চেষ্ঠা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। অগ্নিকান্ডে ২৩ টি দোকান পুড়ে প্রায় পাচঁ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে গৌরীপুর বাজার কমিটির সভাপতি হাজী ওমর আলী নিশ্চিত করেন। দাউদকান্দি ফায়ার সার্ভিসের এসও ফয়েজ আহমেদ জানান, প্রাথমিকভাবে আগুনের সূত্রপাত নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি। শুক্রবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কুমিল্লা-১ ( দাউদকান্দি-মেঘনা) আসনের সংসদ সদস্য ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) সুবিদ আলী ভূঁইয়া বলেন, দাউদকান্দি ব্যবসায়িক প্রাণকেন্দ্র হিসেবে গৌরীপুর বাজার প্রসিদ্ধ। বর্তমান এই সংকটকালীন মুহূর্তে ব্যবসায়ী ও দোকানদারের এই ক্ষয়ক্ষতি অত্যন্ত কষ্টদায়ক। অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। এসময় দাউদকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুল ইসলাম খান, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (দাউদকান্দি সার্কেল) আবু সালাম চৌধুরী, দাউদকান্দি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো: নজরুল ইসলাম, গৌরীপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মো: সাইফুল ইসলাম, গৌরীপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো: আবুল হাসেম সরকার, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোসাম্মৎ রোজিনা আক্তার, গৌরীপুর বাজার কমিটির সভাপতি হাজী ওমর আলী উপস্থিত ছিলেন। অগ্নিকান্ডে পুড়ে যাওয়া দোকানগুলো হলো, কার্তিক কনফেকশনারী, আল-আমিন ষ্টোর, মেসার্স ফারুক এন্ড সন্স, আলাউদ্দিন মেম্বার চাউল দোকান, আল-আমিন এন্টার প্রাইজ, হ্যনিম্যান হোমিও হল, ইসলামিয়া হোমিও হল, মা সার্জিক্যাল, বায়োজিত চশমা ঘর, আলাউদ্দিন ইলেট্রনিক্স, মোল্লা ট্রের্ডাস, গাজী এন্টার প্রাইজ, রাজধানী হোটেল, ভাই ভাই হোটেল, হোটেল সেরামন, বিশ্বজিৎ সাহা মুদী দোকান, হোটেল তাজ মহল, ঢাকা হোটেল, সেলিম ফার্মেসী, ইসলামিয়া ফার্মেসী, শাহপুর ফার্মেসী, জেরিন কম্পিউটার এবং রাজধানী হোটেল।