কুমিল্লার দাউদকান্দিতে অবৈধভাবে কৃষি জমি থেকে মাটি উত্তোলনের সময় ৮টি ড্রেজার মেশিন অপসারণ করেছে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (দাউদকান্দি সার্কেল) মো: জুয়েল রানা। এসময় উপস্থিত ছিলেন এস.আই ফারুক আহমেদ ও গৌরীপুর তদন্ত কেন্দ্র পুলিশের একটি টিম। ড্রেজারগুলো অপসারণে এলাকাবাসী পুলিশকে সহযোগিতা করে। শনিবার বিকেলে উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের দক্ষিন মোহাম্মাদপুর বিল থেকে ৮টি মেশিন অপসারণ করা হয়। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ড্রেজার মেশিনের মালিক ও শ্রমিকরা দৌড়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা জানায়,উপজেলার মোহাম্মদপুর গ্রামের মো: কামাল ও সেলিম মিয়া নামে দুই ব্যক্তি ওই বিলে প্রভাব খাটিয়ে অবৈধ ড্রেজারের মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে ফসলি জমি থেকে মাটি উত্তোলন করে আসছিল। স্থানীয় এক কৃষক জানায়, অনেকদিন থেকেই তারা ড্রেজার বসিয়ে মাটি উত্তোলন করতে থাকে। আমরা বাধা দিলেও সে গ্রামের প্রভাবশালী হওয়ায় কিছুই করতে পারি নাই। সারাবছর তারা মাটি কাটে। মাটি কেটে অনেক গভীর করে ফেলছে। আমাদের জমি তাদের পাশেই যে কোন সময় আমাদের জমি ধসে যাবে। জমি বিক্রি করতে গেলেও কেউ নিতে চায়না বলে তোমার জমির পাশে ড্রেজার চলে যে কোন মূহুর্তে জমি ধ্বসে যাবে। ভুক্তভোগী এক মহিলা জানান, এই ড্রেজার মেশিনের ফলে তার ফসলী জমিও দেবে গেছে। সে বাধা দিতে গেলে তাকে হুমকী দিয়ে কামাল বলে আমি মাটি কাটবোই যা পারিস কর। অভিযান পরিচালনা করা কালে দাউদকান্দি সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো: জুয়েল রানা বলেন, এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতেই এই অভিযান চালানো হয় এবং তাদের সহযোগিতায়ই পুলিশ এই ড্রেজার অপসারণ করে। এজন্য আমরা এলাকবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞ। ড্রেজার মেশিন পরিবেশ ও ফসলি জমির জন্য অত্যান্ত ক্ষতিকর। ড্রেজার দিয়ে জমি খনন করলে সেখানে আর কখনোই ফসল ফলানো যাবে না। পাশাপাশি এই মেশিন দিয়ে এত গভীর করে মাটি কাটা হয় যে, পাশবর্তী জমি যেকোন মূহুর্তে ধ্বসে পড়তে পারে। ড্রেজার ব্যবসায়ীরা ব্যক্তিগত লাভের জন্য ফসলী জমির চিরস্থায়ী ক্ষতি করছে। কুমিল্লা জেলার পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ পিপিএম (বার) স্যারের নির্দেশনায় দাউদকান্দি ও চান্দিনা থানা এলাকায় নিয়মিত ড্রেজার বিরোধী অভিযান চালাচ্ছি। আমাদের এই ড্রেজার বিরোধী এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। এদিকে পুলিশের এই কার্যক্রমকে এলাকার জনগন সাধুবাদ ও ধন্যবাদ জানিয়েছে।