কোরবানির পশু কেনাবেচার জন্য প্রস্তুত দাউদকান্দির পশুর হাটগুলো। চারদিকে সারিবদ্ধভাবে লাগানো হয়েছে বাঁশের খুঁটি। খুটির সঙ্গে লম্বা করে বাশঁ বাঁশা । উঁচু-নিচু মাটি সমান করে কোন কোন স্থানে দেয়া হয়েছে বালু বা ইট । আর কিছুদিন পরেই ঈদুল আজহা । বিভিন্ন হাট ঘুরে দেখা যায়, ইজাদারের লোকজন হাটের বিভিন্ন কাজের তদারকি করছেন। শ্রমিকরা কেউ গত খুঁড়ছেন, কেউ বাঁশ কাটছেন বা বাঁশ বেঁধে দিচ্ছেন । মাটিবালু ফেলে উঁচু-নিচু জায়গা সমান করা হচ্ছে, বিদ্যুতের সংযোগ দেয়া হচ্ছে। হাটের একাধিক গেট বা তোরণ নির্মাণ হচ্ছে। এছাড়াও পশু ট্রাক থেকে নামানোর জন্য মাটি দিয়ে উঁচু টিলার মতো তৈরি করতে দেখা গেছে । এবার দাউদকান্দিতে ১৩টি হাট ইজারা দেয়া হয়েছে । এরমধ্যে কয়েকটি হাটে পশু দেখা গেছে। ক্রেতা ও বিক্রেতার উপস্থিতি ছিলো স্বল্প সংখ্যক। এছাড়াও ক্রেতা বিক্রেতাদের নিরাপত্তায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ক্যাম্পও থাকছে হাটে । দাউদকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ সেলিম শেখ বলেন, দাউদকান্দির পশুর হাটগুলোতে ক্রেতা বিক্রেতাদের সুবিধার্থে নিরাপত্তা, জাল টাকা শনাক্তকরণ, সিসি ক্যামেরা, চিকিৎসক টিমের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে । এব্যাপারে কুমিল্লার পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম বলেন, ইতিমধ্যে পশুর হাটের ইজারাদারদের সাথে আমরা মতবিনিময় করেছি বাজারের সার্বিক পরিস্থিতি এবং একই সাথে নিরাপত্তার বিষয়টা বিবেচনা করে আমরা নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজিয়েছি। কুমিল্লার জেলায় সবমোট ৩৯২ টি পশুর হাট রয়েছে। এর মধ্যে ৩৯ টি স্থায়ী আর বাকিগুলো অস্থায়ী । কোরবানির হাটে পুলিশের বিশেষ নজরদারি থাকবে।