দাউদকান্দি পৌর এলাকায় অবস্থিত টোল প্লাজা ঘাট মাছ বাজারে জাটকা রক্ষায় অভিযান পরিচালনা করেন দাউদকান্দি উপজেলা প্রশাসন । শুক্রবার ভোর ৫ টায় এ অভিযান পরিচালনা করেন দাউদকান্দি উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সেলিম শেখ। প্রত্যক্ষ সূত্রে জানা যায়, দাউদকান্দি পৌর এলাকার টোল প্লাজা ঘাট মাছের বাজারে বিধি বহির্ভূতভাবে জাটকা মাছ বিক্রি হচ্ছে বেশ কিছু দিন ধরে। জেলেরা বিধি বহির্ভূতভাবে মেঘনা ও গোমতী নদী থেকে নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল ব্যবহার করে সাড়া রাত জাটকা মাছ ধরে নৌকায় সাময়িক সংরক্ষণ করে। পরবর্তীতে ভোরের আলো ফোটার পুর্বেই গোপনে তা কিছু আড়তদারের সহযোগিতায় ঘাট বাজারে বিক্রি করা হয়। সচেতন এক নাগরিক বিষয়টি উল্লেখ করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুল ইসলাম খানের নিকট অভিযোগ করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ভোরের আলো ফোটার পুর্বেই অভিযানে নামেন দাউদকান্দি উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সেলিম শেখ। এদিকে ম্যাজিস্ট্রেট আসার খবর পেয়ে আড়তদাররা দ্রুত ঘঠনা স্থল ত্যাগ করার চেষ্টা করলেও শেষ রক্ষা হয়নি। উপস্থিত জনতা আসামিদের হাতে নাতে ধরে ফেলেন। এ সময় এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট দুই আড়তদারকে ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন এবং দুই মন জাটকা মাছ জব্ধ করেন। পরে জব্ধকৃত মাছ দাউদকান্দি উপজেলার বিভিন্ন এতিমখানায় বিতরণ করা হয়। এ বিষয়ে দাউদকান্দি উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সেলিম শেখ বলেন কিছু জেলে ও আড়তদার মিলে জাটকা মাছ ধরা ও বিক্রি করার একটি সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছিলেন। তারা রাতের আধারে বেশ গোপনীয়তার সাথে জাটকা মাছ নিধন করছিল। অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা ভোরে ঘাট বাজারে এসে তার সত্যতা পাই এবং দুজন আড়তদারকে জাটকা মাছসহ ধরা হয়। তারা তাদের অপরাধ স্বীকার করেন এবং ভবিষ্যতে এমন অপরাধ করবেন না বলে অংগিকার করেন। প্রথমবার অপরাধের জন্য অর্থদণ্ড দিয়ে সতর্ক করা হয়েছে। ভবিষ্যতে অপরাধের পুনরাবৃত্তি হলে কঠোর শাস্তি প্রদান করা হবে। দাউদকান্দি পৌর এলাকার মাছ বাজারে উপস্থিত জনসাধারণ উপজেলা প্রশাসনের এমন অভিযানকে স্বাগত জানান।