দাউদকান্দি উত্তর ইউনিয়নের হাসনাবাদ এলাকার বিটতলা নামক স্থানে অবৈধভাবে ফসলি জমি থেকে ড্রেজার এর মাধ্যমে মাটি কাটার বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়। এসময় একটি ড্রেজার মেশিন বিনষ্ট করা হয়। মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন দাউদকান্দি উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সেলিম শেখ। প্রত্যক্ষ সূত্রে জানা যায়, দাউদকান্দি উত্তর ইউনিয়নের হাসনাবাদ এলাকার বাসিন্দা মোঃ আনিস এবং মোঃ মানিক দুই ভাই শুক্রবার ছুটির দিনে গোপনে অবৈধভাবে ফসলি জমি থেকে ড্রেজার এর মাধ্যমে মাটি কেটে জমি ভরাট শুরু করে। ড্রেজারের মাধ্যমে মাটি কাটার ফলে পার্শ্ববর্তী ফসলি জমি সহ একটি কবরস্থান ভেঙে পড়া আশঙ্কা তৈরি হয়। এমতাবস্থায় সংশ্লিষ্ট এলাকার এক ব্যাক্তি ম্যাজিস্ট্রেটের মোবাইলে ফোন করে বিষয়টি অবহিত করেন। ফোন পেয়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার জন্য ঘটনাস্থলে ছুটে যান দাউদকান্দি উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সেলিম শেখ। অন্যদিকে ম্যাজিস্ট্রেট আসার খবর পেয়ে আসামি দ্রুত ঘটনা স্থল ত্যাগ করেন। উপস্থিত জনতা আসামিদের ধাওয়া করেও ধরতে পারেননি। পরে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ক্ষতিকর ড্রেজার মেশিন বিনষ্ট করা হয়। এ বিষয়ে দাউদকান্দি উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সেলিম শেখ বলেন, দাউদকান্দি উপজেলায় ফসলি জমি বিনষ্ট করে অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে মাটি কাটার প্রবণতা লক্ষ করা যায়। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এসব অবৈধ ড্রেজার এর বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে। আজ শুক্রবার ছুটির দিনে দাউদকান্দি উত্তর ইউনিয়নে গোপনীয় ভাবে অবৈধ ড্রেজার দিয়ে ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে জমি ভরাট করা হচ্ছিল। অত্র ইউনিয়নের হাসনাবাদ এলাকার মোঃ আনিস এবং মোঃ মানিক মানুষের কাছে ড্রেজার ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত। তারা বিভিন্ন মানুষের জমি ভরাট করার কন্ট্রাক্ট নিয়ে থাকে। দাউদকান্দি উপজেলায় ক্ষতিকর এসব ড্রেজার চালাতে দেয়া হবে না। অভিযানের পর দাউদকান্দি উত্তর ইউনিয়নের সর্বস্তরের মানুষ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন।তারা প্রশাসনের প্রতি এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখার আকুল আবেদন করেন।