কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার মারুকায় করোনা ভাইরাস উপসর্গ নিয়ে এক বৃদ্ধরে মৃত্যু হয়েছে। ৫ এপ্রিল রবিবার সকাল পৌনে ৮ টায় উপজেলার মারুকা ইউনিয়নের চক্রতলা গ্রামে নিজ বাড়িতে তার মৃত্যু হয়। ওই ব্যক্তি কয়েক দিন ধরে জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত ছিলেন।
৪ এপ্রলি শনিবার রাত সাড়ে ৮ টায় চক্রতলা গ্রামের ৫৫ বছরের বেশি বয়সী এক বৃদ্ধর অসুস্থতার লক্ষণকে করোনা ভাইরাসের লক্ষণ উপসর্গের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ মনে করায় উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সুপারিশে সেই বাড়ির ৭টি পরিবারকে লক ডাউন করা হয়। রবিবার সকালে তার নমুনা সংগ্রহ করা হবে মর্মে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছিলেন। কিন্তু সকাল পৌনে ৮ টায় তিনি মারা যায়। পরে নিহত ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআর এ পাঠানো হয়।
শনিবার রাতে চক্রতলা গ্রামের ঐ বৃদ্ধর অসুস্থতার লক্ষণকে করোনা ভাইরাসের লক্ষণ উপসর্গের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ মনে করায় বৃদ্ধর সম্পূর্ণ বাড়িসহ আশেপাশের ৭টি পরিবারকে সম্পূর্ণ পুলিশ প্রহরায় লকডাউন ঘোষণা করেন দাউদকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুল ইসলাম খান। এসময় দাউদকান্দির সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ সেলিম শেখ, দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মো: শাহীনূর আলম সুমন, আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন ও দাউদকান্দি মডেল থানা পুলিশ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে করোনার লক্ষণ উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া বৃদ্ধকে চক্রতলা গ্রামের কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। রবিবার দুপুর দেড় টায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন ও দাউদকান্দি স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মীদের বিশেষ দল ব্যক্তিগত সরঞ্জাম পড়ে সরকার নির্দেশিত নিয়মে ঐ বৃদ্ধর দাফন সম্পন্ন করেন।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা ও কর্মীরা ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম ( পিপিই) পড়ে ইসলামিক শরিয়ত মতে মৃত বৃদ্ধর মরদেহ গোছল করান ও কাফনের কাপড় পড়ান। পরে ইসলামিক ফাউন্ডেশন ও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মীরা নিহতের বাড়ি থেকে পালষ্কে করে মরদেহ অন্তত এক কিলোমিটার দূরে কবরস্থানে নিয়ে যান। সেখানে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন ও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মী ছাড়াও পরিবারের লোকজন অংশ গ্রহন করেন। দাফনের পর ইসলামিক ফাউন্ডেশন ও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মীদের ব্যবহৃত পিপিই খুলে পুড়িয়ে ফেলা হয়।
দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মো: শাহীনূর আলম সুমন বলেন, ওই ব্যক্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন কিনা জানার জন্য নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে ( আইইডিসিআর) পাঠানো হয়েছে।