দাউদকান্দিতে আপন ভাতিজিকে ধর্ষণের দায়ে চাচাকে গ্রেফতার করেছে মডেল থানা পুলিশ। উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের পূর্ব কাউয়াদি গ্রামের মৃত আইয়ূব আলীর ছেলে জজ মিয়া (৪৫) ভয়ভীতি দেখিয়ে ৭ম শ্রেণিতে পড়ুয়া আপন ভাতিজিকে ধর্ষণ করে। মামলায় অভিযোগ জানা যায়, স্থানীয় একটি মাদ্রাসার ৭ম শ্রেণির ছাত্রী পিতা-মাতাহীন ভিকটিম কিশোরী (১৩) দাদীর সাথে বাড়ীতে থাকতেন। বড় দুই ভাই লেখাপড়ার কারণে ঢাকায় থাকতেন। গত ৬ মার্চ বড় ভাই বাড়িতে এসে বোনকে কান্নাকাটি করতে দেখে কি হয়েছে জানতে চাইলে ধর্ষনের ঘটনা খুলে বলেন।ভিকটিম কিশোরী জানান, পাঁচ মাস আগে চাচা জজ মিয়া ঘরে ডেকে নিয়ে তাকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। এঘটনা কাউকে জানালে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এরপর থেকে নিয়মিত ধর্ষনে কিশোরী অন্তঃসত্তা হয়ে যায়। ঘটনা জানাজানি হলে ৭ মার্চ জজ মিয়া ও তার স্ত্রী ফাতেমা বেগম কৌশলে গৌরীপুরে এনে গর্ভপাত করায়। পরে অসুস্থ্য অবস্থায় কিশোরীকে চাঁদপুর জেলার মতলব উপজেলার নারায়নপুর টাওয়ার মেডিকেলে চিকিৎসা করায়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাব ইন্সপেক্টর এমদাদুল হক জানান, দাউদকান্দি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রফিকুল ইসলামের নির্দেশে ধর্ষনের ঘটনায় মামলা নেয়া হয়েছে। রবিবার রাতেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিশোরীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। মামলা দায়ের পর আসামি জজ মিয়াকে কুমিল্লা জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।