ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দাউদকান্দির গৌরীপুর বাসষ্ট্যান্ডে মায়ের দোয়া নামে ঢাকা–কচুয়ার (ঢাকা মেট্রো-জ-১৪-২৭৪১) একটি যাত্রীবাহীবাস থেকে অজ্ঞান পার্টির এক সদস্যকে আটক করা হয়েছে। ২১ জুলাই রবিবার সকাল সাড়ে ১০ টায় আলী আজম মৃধা (৪৫) নামে একজন বাসযাত্রী অজ্ঞান পার্টির কবলে পড়লে চালক ও অন্যন্য যাত্রীদের সহযোগিতায় অজ্ঞান পার্টির সদস্য মুহাম্মদ নুরুজ্জামানকে আটক করে গৌরীপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে সোপর্দ করে। আটকৃত অজ্ঞান পাটির সদস্য নীলফামারী জেলা সদরের চরচরাবাড়ী গ্রামের হাফিজুল ইসলামের ছেলে মুহাম্মদ নুরুজ্জামান(৩৭)। প্রত্যক্ষদূর্শীরা জানান, অজ্ঞান পার্টির চক্রের সদস্য নুরুজ্জামান বাসের যাত্রী আলী আজম মৃধার পাশের সিটে বসে। বাসটি দাউদকান্দি টোলপ্লাজায় থামলে নুরুজ্জামান দ্রুত গতিতে নেমে পড়ে। এসময় বাস চালক মোজ্জামেল হক, হেলপার জাহাঙ্গীর এবং বাসযাত্রী আনোয়ার হোসেন দেখতে পান পাশের সিটের যাত্রী অজ্ঞান হয়ে আছেন। তারা দ্রুত নেমে পড়া অজ্ঞান পার্টির চক্রের সদস্য নুরুজ্জামানকে দ্রৌড়ে আটক করে বাসে তুলেন এবং অজ্ঞান পার্টির কবলে পড়া যাত্রী আলী আজম মৃধাকে গৌরীপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আশংকাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করেন। ওই সময়ে অজ্ঞান পার্টির চক্রের সদস্য নুরুজ্জামান পুনরায় দ্রৌড়ে পালিয়ে গেলে স্থানীয়রা তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। এব্যাপারে গৌরীপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আ,স,ম আব্দুন নূর বলেন, আটককৃত ব্যক্তিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, সংঘবদ্ধ এই চক্রটির সদস্যরা পরস্পর যোগসাজশে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন যানবাহনে যাত্রীদের ঘুমের ওষুধ মেশানো নানা দ্রব্যাদি খাইয়ে সবকিছু লুট করে নিয়ে যায়। তাদের মাত্রাতিরিক্ত ওষুধ ব্যবহারের ফলে মানুষ ৪৮ ঘণ্টারও বেশি সময় অজ্ঞান হয়ে থাকে। এতে করে বড় ধরনের শারীরিক ক্ষতি ছাড়াও প্রাণহানির আশঙ্কা থাকে। এঘটনায় দাউদকান্দি মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামীকে কুমিল্লা জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।