কুমিল্লা জেলা তিতাস উপজেলার জিয়ারকান্দি গ্রামের ঐহিত্য ও কুমিল্লা জেলার শ্রেষ্ঠ প্রতিযোগিতা হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা এবারো ষষ্ঠ বারের মতো অনুষ্ঠিত হলো গতকাল ১১ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার । মানবকল্যাণ সংস্থার উদ্যোগে প্রতিবছর এই অনুষ্ঠানকে ঘিরে জেলার প্রতিটি উপজেলা থেকে হাফেজগণ অংশগ্রহণ করেন । এবারো এর কোন ব্যতিক্রম ঘটেনি । ৯ ফেব্রুয়ারি বাছাই পর্বে ৫পারা ,১০ পারা ও ৩০ পারা বিভাগে ক,খ ও গ বিভাগে শত শত হাফেজগণ অংশগ্রহণ করেন এই প্রতিযোগিতায় । সুন্দর ও সাবলীলভাবে হাফেজগণকে মূল্যায়ণ ও পুরস্কার অনেকই প্রশংসা করেছেন এই অনুষ্ঠানেরর আয়োজক কমিটিকে। শুক্রবার হয়েছিল ফাইনাল রাউন্ড । ফাইনাল রাউন্ডে প্রতিটি বিভাগ থেকে ১থেকে ২০ জন প্রতিযোগিকে সার্টিফিকেট ও পুরুস্কার প্রদান করা হয়। প্রতিটি বিভাগ মিলে মেধা তালিকা প্রথম থেকে তৃতীয় স্থান অর্জনকারীকে মোট ২ লক্ষ ৫০ হাজারের নগত অর্থ উপহার হিসেবে দেয়া হয় পাশাপাশি সাথে দেয়া হয় ক্রেষ্ট ও সার্টিফিকেট দেয়া হয়। এই প্রতিযোগিতাকে ঘিরে সামাজিক কল্যাণমূখী কাজে ও স্ব-স্ব কর্ম দক্ষতা অর্জনে জেলার বিশেষ ব্যক্তিরা বিশেষ অবদান রাখায় দেয়া সম্মানাসহ (ক্রেষ্ট) আরো অসংখ্য উপহার ।প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় উপজেলার বিভিন্ন মাদ্রাসার হাফেজে কোরআন ছাত্ররা তেলাওয়াতের প্রতিযোগিতায় অংশ নেন।
এই বিষয়ে মানবকল্যাণ সংস্থার পরিচালক মো: নাজমুল হোসাইন জানান ,মক্তব শিক্ষাকে জাগ্রত করতেই আমাদের এই আয়োজন । তাছাড়া পৃথিবীর শেষ্ঠ সন্তান কুরআনে হাফেজদের যথাযত সম্মান দিতেই আমরা প্রতি বছর হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা আয়োজন করে থাকি। মানবকল্যাণ সংস্থা প্রতিটি সদস্য আন্তরিকভাবে অনুষ্ঠান বাস্তবায়ন করায় দেশ –বিদেশের সকলকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন কুরআন হলো মানুষের একমাত্র মুক্তির পথ । প্রতি বছর ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে তিনি সকলের কাছে সহযোগিতা কামনা করেন । এই বিষয়ে জানতে চাইলে এলাকার অনেকই জানান আমাদের গ্রামের এই পরিবারটি এই ভালো কাজটি দেখে আমরা সত্যিই মুগ্ধ ! এখন জিয়ারকান্দি গ্রামটি স্বনাম ছড়িয়ে গেছে দেশ-বিদেশে তারা জানান ,জেনারেল শিক্ষায় শিক্ষিত হয়েও পরিবারের সকল সদস্যই কুরআনের খেদমতে বিশেষ অবদান রাখায় আমরা পরিবারটির কাছে কৃতজ্ঞতার কথা জানান । সমাজে এই একটি উদাহরণ হতে পারে ভালো কাজের শ্রেষ্ঠ উদাহরণ ।বর্তমানে যেখানে অপসাংস্কৃতির কবলে যুব সমাজ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে সেখানে এই ধরণের হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ভালো কাজের বড় উদাহরণ হতে পারে ।
এই বিষয়ে প্রতিযোগিতায় আগত বিভিন্ন মাদরাসায় শিক্ষক ,ছাত্র ও অভিভাবকগণ মানবকল্যাণ সংস্থাকে ধন্যবাদ জানান । সুষ্ঠু ও চমৎকার পরিবেশে প্রতিযোগিতায় আগত ছাত্র , শিক্ষক,অভিভাবকদের সকালের নাস্তা ও দুপুরের খাবার বিতরণের প্রশংসা করে বলেন ,এই আয়োজন আমাদের কুমিল্লা জেলার অহংকার আমরা দোয়া করি আল্লাহ আমাদেরকে এই আয়োজনে সওয়াব দানে জান্নাতের ফায়সালা দান করুন । আয়োনের মিডিয়া পার্টনার হিসেবে ছিলেন সূচনা টেলিভিশন ।