পৃথিবীর শেষ্ঠ সন্তান হলেন পবিত্র কুরআনের হাফেজগণ ! পবিত্র রমজানের এই হাফেজদের কণ্ঠে তারাবির নামায না পড়লে যেন রোজার স্বাদ পাওয়া যায়না ।তাইতো আমাদের দেশের বেশিরভাগ মসজিদের খতম তারাবিহ নামায অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে ।
কিন্ত যদি এমন হয় একটি মসজিদের একজন হাফেজ তার দরদী কণ্ঠে তেলোয়াত শুনে খতমে তারাবিহ নামাযের মুসল্লি দিনদিন বাড়তে থাকে । ব্যাপারটি অবশ্যই আনন্দের তাই নয় কি ? গত সপ্তাহে যে হাফেজকে দেখেছিলেন সুস্থ কিন্তু হঠাৎ তার মৃত্যুর সংবাদ শুনে মসজিদের মুসুল্লিরা ভ্রারাক্রান্ত হয়ে পড়ে। তেমন একটি ঘটনা ঘটলো চাঁদপুর জেলার কচুয়া উপজেলায়। নাম তার হাফেজ জাকারিয়া
অসাধারণ কণ্ঠে পবিত্র কুরআন তিলোয়াত করতে সে। তারাবিহ নামাযে আগত মুসুল্লিল্লারা ডুবে যেত তার কণ্ঠে কুরআনের সূর শুনে । মহান আল্লাহর কালাম শুনে অশ্রুশিক্ত হয়ে যেতো সকলে কিন্তু তাদের প্রিয় হাফেজ জাকারিয়ার মৃত্যু তাদের প্রিয়জন হারানোর বেদনাকে হার মানিয়েছে । মসজিদের মুসল্লিদের চোখে মুখে কান্নার ভাব মহান আল্লাহর কাছে হাফেজ জাকারিয়ার জন্য প্রার্থনায় ছিলেন মুসল্লিরা ।একজন আরেকজনের কাছে তাদের প্রিয় হাফেজ জাকারিয়ার মৃত্যুর শোক নিয়ে মোনাজাত করতে দেখা যায়। হাফেজ জাকারিয়া ছিলেন চাঁদপুর জেলা কচুয়া উপজেলার মনপুরা গ্রামের স্থানীয় কেন্দ্রীয় একটি মসজিদের তারাবিহ নামায পড়াতে সে। কিন্তু তার মৃত্যুতে শোকাহত পুরো কচুয়া উপজেলাবাসী । উপজেলার একটি মাদরাসায় সে শিক্ষকতা করতো । তাছাড়া সে সাধারণ বিভাগে মাস্টার্সও করেছিলেন । অসাধারণ মেধাবী ও বিনয়ী এই কুরআনের হাফেজের মৃত্যুতে শোকাহত তার ভক্তবৃন্দরা ।
২৭ রমজানের দিন তার তারাবির সম্মানী দেওয়া কথা ছিলো কিন্ত সে ১৭মে মহান আল্লাহ ডাকে সাড়া দিয়ে চলে গেছেন এই দুনিয়ার মায়া ছেড়ে (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নাইলাহি রাজিউন)।
হাফেজ জাকারিয়ার কণ্ঠে পবিত্র কুরআনের সূর শুনে শীতল হয়ে যেতো নামাযরত মুসল্লিদের । হাফেজ জাকারিয়া জ্বর অনুভব হলে তাকে বাড়ীতে পাঠিয়ে দেওয়া হয় কিন্ত এর বাড়িতে যাবার ৩দিন পর শুনতে পেলো তাদের প্রিয় হাফেজ জাকারিয়ার মৃত্যুর খবর ।