বাংলাদেশ সকলের ধর্মের বসাবাস । সকলেই গড়েছে এই বাংলাদেশ । এর অনন্য উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন। কুমিল্লা উত্তর জেলা সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা লিটন সরকার । ধর্মের প্রকৃত শিক্ষা যে মানবতা, বিপন্নের পাশে দাঁড়ানো-সেটি জোরালোভাবে তুলে ধরেছেন তিনি। হিন্দু ব্যক্তির মৃত্যুর পর করোনার ভয়ে যখন নিজের আত্মীয়-স্বজন ও হিন্দু প্রতিবেশীরা দূরে সরে থেকেছেন, তখন এগিয়ে এসেছেন মুসলিম যুবকরা। সৎকারের অপেক্ষায় পড়ে থাকা মৃতদেহ নিজেরা কাঁধে তুলে নিয়ে পৌঁছে দিয়েছেন শ্মশানে। গত ৮জুন সন্ধ্যায় চান্দিনা কুমিল্লার দেবিদ্বারের সুলতানপুর ইউনিয়নের, সুলতানপুর গ্রামে সনাতন ধর্মের মৃত হলোধর চন্দ্র দাসের ছেলে অনিল চন্দ্র দাস (৫৩) করোনা উপসর্গ নিয়ে সোমবার মারা যান। জানা যায়,তিনি গত ১৫ /১৬ দিন যাবত জ্বর,কাশি,গলা ব্যথা,ও শ্বাষ কষ্ট নিয়ে ঘরেই চিকিৎসা সেবা নিচ্ছিলেন। করোনার এমন উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু হওয়ায় তার আত্মীয় স্বজনরা ও পাড়া প্রতিবেশীরা কেউ এগিয়ে না আসায়, কুমিল্লা উত্তর জেলা সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা লিটন সরকার সহ তার নেতৃত্বে গঠিত সেচ্ছাসেবক১০১জনের টিম মৃত অনিল চন্দ্র দাসের সৎকার কাজ সম্পন্ন করেন। টিম সহযোগিতায় ছিলেন, যাদব রায়, গনেশ,প্রফুল্ল,সঞ্জয়,রবিউল, কাউছার,শাহিন, খলিল, বিশাল সহ আরো অনেকেই। এ বিষয়ে জানতে চাইলে লিটন সরকার বলেন, সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই। তিনি মনে করেন, মানুষের জন্য কিছু করতে পারা অনেক ভাগ্যের ব্যপার, এতে আমি শান্তি পাই, আত্মতৃপ্তি পাই, সে যে ধর্মেরই হোক। তিনি আরো বলেন, করোনার এই ক্রান্তি লগ্নে করোনায় মৃত ব্যক্তির জানাজা দাফন সহ মানুষকে প্রকৃতপক্ষে সহযোগিতার লক্ষ্যে কুমিল্লা উত্তর জেলায় আমি ১০১ জন বিশিষ্ট কমিটি গঠন করেছি, প্রতি নিয়ত এই টিম করোনা সংকট মোকাবেলায় কাজ যাবে।