কুমিল্লার হোমনায় পাগলা কুকুরের কামড়ে শিশু, নারী ও মাদ্রাসার ছাত্রসহ ২৪ জন আহত হয়েছে। গতকাল সোমবার সন্ধায় উপজেলার ফজুরকান্দি, ঘারমোড়া, নিলখী ও শ্রীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এতে ২৪ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে ।
আহতরা হলেন- ঘারমোড়া গ্রামের রুশিয়া বেগম (৫০),শাওন(১২),সেলিম(২৫), মিরাজ(২৮), মারিয়া(৬),(জিসান(৭),খাদিজা(১৪),শাহনাজ(৩০), মো.লিটন (৪০) ফজুরকান্দি গ্রামের তাছরিফা (৮), আঃ রহমান(৫), হোসাইন(৬) শারমিন(২৬), রহিমা(৬),সামিয়া(৮), আতিক(১২), খোদেদাউদপুর গ্রামের মাসুদা(২৮), শ্যামপুর গ্রামের শাওন(১০) , শ্রীপুর গ্রামের রাফি (৮) ও নিলখী গ্রামের মনোয়ারা বেগম (৫৫), ফজিলত বেগম (৬০), আনোয়ারা বেগম (৬০), ফয়েজুদ্দিন (৬৫), মামুন (৩০)।
হাসপাতাল ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, সোমবার দুপুর একটার দিকে একটি পাগলা কুকুর উপজেলার ফজুরকান্দি কয়েক জনকে কামড় দেয়। পরে ঘারমোড়া, নিলখী ও শ্রীপুর গ্রামে নারী, শিশু ও মাদ্রাসার ছাত্রকে কামড় দেয়। এদের মধ্যে ১১ জন শিশু, ৭ জন নারী, ৩ জন মাদ্রাসার ছাত্রসহ মোট ২৪ জন আহত হয়েছেন । এতে গ্রামবাসীর মাঝে জলাতঙ্ক রোগের আতঙ্ক দেখা দেয়। অবশেষে মঙ্গলবার পাগলা কুকুরটিকে মারতে সক্ষম হয়েছে এলাকাবাসি।
আহত মিরাজ বলেন,আমি ঘাড়মোড়া বাজারে রাস্তার পাশ দিয়ে হেটে যাচ্ছি। হঠাৎ একটি কুকুর আমার হাটুর উপরে কামড় দেয়। আমি কুকরটিকে লাথি মেরে তাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে কুকুরটি আমার বুকের মধ্যে আবারও কামড় দিয়ে দৌড়ে চলে যায়। পরে আশে পাশের লোকজন আমাকে হাসপাতাল নিয়ে আসে।
হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবদুছ ছালাম সিকদার জানান, কুকুরের কামড়ে আহত ১৮জন চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর জলাতঙ্ক টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে।