শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করে কোচিংয়ের মাধ্যমে কুমিল্লার জেলার দাউদকান্দি উপজেলার বেশ কিছু –বেসরকারী স্কুল,কলেজ ও কিন্ডাগার্টেনে চলছে শিক্ষা বানিজ্য। প্রায় স্কুলগুলোর চমক কিছু বিজ্ঞাপন চালু করে জানিয়ে দেয় দাউদকান্দি ও গৌরীপুরে লেখাপড়ার একমাত্র প্রতিষ্ঠান তাঁরাই যারা পারবে দূর্বল শিক্ষার্থীদের মেধাবী হিসেবে গড়ে তুলতে তাই ভর্তি হলেই একজন শিক্ষার্থী বোর্ড পরীক্ষায় জিপিও -৫ পাওয়ার শতভাগ নিশ্চিত সম্ভবনার এমন সব চিত্র তুলে ধরেন অভিভাবকদের মাঝে । দাউদকান্দি ,তিতাস, মেঘনাও হোমনার বেশকিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চিত্র একই বলা চলে । পূঁজিবাদী শিক্ষার কূফলে স্কুলগুলো হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা বেসরকারি স্কুলগুলো শিক্ষার নামে রীতিমতো মেতে উঠেছে বাণিজ্যে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা পরিচালক অধ্যাপক ড. সিদ্দিকুর রহমান এর মতে, শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে পাঠদানের নামে রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে তিনি মনে করেন এটি শুধু অনৈতিকতাই নয়, পাপও। এসব মেনে নেওয়া যায় না। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারদের সর্তকবার্তায় উপজেলার হতে পারে শিক্ষাক্ষেত্রে স্বরণীয় । নকল মুক্ত উপজেলায় রুপান্তিত করার লক্ষ্যে সবাই মিলে কাজ করলে ভালো কিছু করার অনুপ্রেরণা সৃষ্টি হতে পারে । অবশ্যই কর্তৃপক্ষকে কঠোরভাবে এর ওপর নজর রাখা উচিত। নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করে প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে অর্থ আদায় করতে না পারে, একই সঙ্গে যাতে সঠিক পদ্ধতিতে পাঠদান করানো হয়, সেদিকে লক্ষ্য রেখে মনিটর করতে হবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে । কুমিল্লা দাউদকান্দি,তিতাস মেঘনা উপজেলায় ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা এসব স্কুল,কিন্ডারর্গার্টেন ব্যবসা করে লাখ ,লাখ টাকার পাশাপাশি উন্নতমানের শিক্ষার প্রতিশ্রূতি প্রদান করে আসছে । শিক্ষিত জনগোষ্ঠির বেশির ভাগ বেকার হওয়ায় আশ্রয়স্থল ভেবে স্কুলে চাকুরি নিয়ে বেঁচে থাকার লড়াই করে আসছে ।