কুমিল্লা দাউদকান্দি উপজেলা গত কয়েক বছর ধরে হাসপাতালগুলো প্রাতিষ্ঠানিক চিকিৎসাসেবা পরিণত হয়েছে মুনাফা লোটা ব্যবসায়। গৌরীপুর বাজারের আশপাশে চোখ ফিরালেই দেখতে পাওয়া যায় বেসরকারি পর্যায়ে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়েছে প্রাইভেট হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। এর বেশির ভাগই ধার ধারে না সেবার মান বা নীতিনৈতিকতার। অবৈধ কৌশলে, জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে রোগীদের পকেট কাটায় এই খাত এতই লাভজনক হয়ে উঠেছে যে অন্য খাতের ব্যবসায়ীরাও পুরনো ব্যবসা বাদ দিয়ে নেমে গেছেন হাসপাতাল ও ক্লিনিক প্রতিষ্ঠায়।
লাভের আরো দিক এর সঙ্গে যুক্ত থাকে ওষুধের ব্যবসাও। সরকার হাজার হাজার প্রতিষ্ঠানের অনুমতি বা নিবন্ধন দিলেও ঠিকমতো করেনি নজরদারি। সাম্প্রতিক মোবাইল কোর্ট আসলে দেখা যায় বিভিন্ন বে-সরকারী হাসপাতাল ও ঔষধের দোকান গুলোর বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগে হতভম্ব হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ। প্রশাসন বা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল শাখার কর্মকর্তারা বছরের পর বছর এসব দেখেও দেখেননি। অনেক প্রতিষ্ঠানের মালিকানায় জড়িত প্রভাবশালী চিকিৎসকরাও। অপকর্মের জন্য তাঁরা যেমন দায়ী, তেমনি সেবার শপথ নেওয়া চিকিৎসকদের যাঁরা এসব প্রতিষ্ঠানে চাকরি সূত্রে জড়িত তাঁরাও এসবের দায় এড়াতে পারেন কি না সেই প্রশ্নও ওঠেছে সাধারণ মানুষের ।
একাধিক জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ সূচনা টিভির জিজ্ঞাসার জবাবে নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়ে বলেছেন, দুর্নীতির মাধ্যমে চিকিৎসাসেবাকে ব্যাপক লাভজনক ব্যবসা হিসেবে প্রসার ঘটাতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখছে এক শ্রেণির চিকিৎসকদের সম্মিলিত সিন্ডিকেট।