বাগান বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধের জেরে সংঘর্ষের ঘটনায় পল্লী চিকিৎসক গোলাম মহিউদ্দিন (৬০) নামের একজন নিহতের ঘটনায় দুষ্কৃতকারী ও সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবিতে মানবন্ধন করেছে এলাকাবাসী। শনিবার দুপুরে মেঘনা উপজেলার শীবনগর চৌরাস্তায় এ মানবন্ধনের আয়োজন করে চন্দনপুর ইউনিয়নের এলাকাবাসী।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার চন্দনপুর ইউনিয়নের শিবনগর গ্রামের হাফেজ মিয়ার ছেলে লুৎফুর রহমানের সাথে প্রতিবেশী শাহাবুদ্দিন মিয়ার বাগান বাড়ির সীমানা নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলে আসছিলো। গত বৃহস্পতিবার জায়গা মাপার এক পর্যায়ে লুৎফর রহমানের সাথে শাহাবুদ্দিন ও মহিউদ্দিনের কথা কাটাকাটির সময় লুৎফুর রহমানের ভাই ও ভাতিজারা মহিউদ্দিন ও তার ভাই ভাতিজাদের উপর হামলা চালায় এতে ঘটনাস্থলে পল্লী চিকিৎসক মাহিউদ্দিন নিহত হয়। নিহতের চার ভাতিজা আহত হয়। সংঘর্ষে আহতরা হলেন মুক্তাদীর উল্লাহ(৪২),খসরু(৪৬),সোহেল(৩৫) ও রনি(২৪)। আহত সকলেই স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
মেঘনা থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি) আব্দুল মজিদ জানান, “পারিবারিক বিরোধ ও জমি পরিমাপের সময় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতি-মারামারির ঘটনা ঘটে। এ সময় মহিউদ্দিন নামের একজন নিহত হয়। প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১ জনকে আটক করা হয়েছে। আজ সন্ধ্যায় মামলা রজু হতে পারে।” উল্লেখ্য, গত ১২ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) দুপুরে উপজেলার চন্দনপুর ইউনিয়নের শিবনগর গ্রামের লুৎফর ও শাহ-আলম এর নেতৃত্বে পূর্বপরিকল্পিতভাবে দেশীয় অস্র রামদা,ছুড়ি ও হকস্টিক দিয়ে পিটিয়ে হামলা চালিয়ে মহিউদ্দিনকে গুরুতর আহত করলে স্থানীয় উপজেলা কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।