করোনা ভাইরাস সংক্রামন প্রতিরোধে দিনমজুর কর্মহীন ও নিম্ম আয়ের মানুষ আজ ঘর বন্দি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ও কুমিল্লা-২ ( হোমনা- তিতাস) আসনেন সংসদ সদস্য সেলিমা আহমাদ মেরী, তিতাস উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো: পারভেজ হোসেন সরকার এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছামৎ রাশেদা আক্তারের সার্বিক তত্বাবধানে ২০ হাজার পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরন করা হয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোসামৎ রাশেদা আক্তার সাংবাদিকদের বলেন,দেশের দূর্যোগ মূহুর্তে ৩১শে মার্চ থেকে ১৪ ই এপ্রিল এর মধ্যে ত্রাণ ও দুর্যোগ অধিদপ্তর থেকে মোট বরাদ্দ পেয়েছি ৩৬ মে টন চাল এবং নগদ ৮০ হাজার যা দিয়ে ডাল আর আলু কিনে বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া জেলা প্রশাসক থেকে আমরা প্রথমে ১৮০ প্যাকেট এবং কয়েকদিন পূর্বে ১৮০ প্যাকেট পেয়েছি। যা ইতি মধ্যে বিতরণ হয়েছে। এবং কোভিট –১৯ আক্রান্ত ব্যাক্তি জরুরী স্থানান্তরের জন্য একটি অ্যাম্বুলেন্স ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঁচটি আইসোলেশন প্রস্তুত আছে। এবিষয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো: পারভেজ হোসেন সরকার বলেন, ৩১শে মার্চ থেকে ১৪ ই এপ্রিল প্রায় ২০ হাজার পরিবারের মাঝে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে ত্রাণ বিতরণ হয়েছে। এর মধ্যে ত্রাণ ও দুর্যোগ অধিদপ্তর থেকে তিতাস উপজেলা বরাদ্দ পেয়েছি মোট ৩৬ মে টন চাল এবং নগদ ৮০ হাজার টাকা যা দিয়ে ডাল আর আলু ক্রয় করে বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া জেলা প্রশাসক থেকে আমরা
দুই ধাপে ৩৬০ প্যাকেট প্রথমে ১৮০ প্যাকেট এবং কয়েক দিন আগে ১৮০ প্যাকেট পেয়েছি। যা ইতি মধ্যে বিতরন করা হয়েছে।এবং কুমিল্লা-২ (হোমনা – তিতাস) আসনের সংসদ সদস্য সেলিমা আহমাদ মেরীর নির্দেশে উপজেলা প্রশাসন ও পরিষদ এবং উপজেলা সকল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের অর্থায়নে ৫ হাজার পরিবার এবং সমাজের বিত্তবান ও প্রবাসীদের অর্থায়নে প্রায় সাড়ে ১২ হাজার পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরন করা হয়েছে। আসছে মাহে রমজান উপলক্ষে আমরা খাদ্যসামগ্রী বিতরণের প্রদক্ষেপ নিয়েছি।
পর্যায়ক্রমে আমাদের খাদ্যসামগ্রী বিতরন অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ। করোনা ভাইরাস সংক্রামন প্রতিরোধে আমার প্রান প্রিয় তিতাস বাসী আপনারা সকলে সামাজিক দুরুত্ব বজায় রাখুন। ঘরে থাকুন নিজে সচেতন হউন পরিবারের সকলকে সচেতন করুন। তিতাস উপজেলা প্রশাসন সহ আমারা আপনাদের পাশে আছি।