সোমবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:১০ পূর্বাহ্ন

কুমিল্লায় অবৈধভাবে চলছে ২ শতাধিক ক্লিনিক ও হাসপাতাল

ডেস্ক রিপোর্ট: মো: আবু তাহের নয়ন
  • Update Time : শনিবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২১
  • ১৩১ Time View
কুমিল্লায় অবৈধভাবে চলছে দু’শতাধিক হাসপাতাল ও ক্লিনিক। বৈধ কাগজপত্র ও লাইসেন্স না থাকাসহ নানা অনিয়ম ও অপরাধের দায়ে ইতোমধ্যে ১৭টি প্রাইভেট হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করে দেয়া হয়। এছাড়া এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন কুমিল্লা জেলা সিভিল সার্জন । উপজেলা সদরের তুলনায় পিছিয়ে নেই গ্রাম এলাকার হাটবাজারগুলোতে অবাধে গড়ে উঠা অবৈধ হাসপাতাল-ক্লিনিকগুলো। সেখানেও চলছে এসব প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার প্রতিযোগিতা। এছাড়া অনুমোদন পাওয়ার আগে শুধুমাত্র আবেদন করেই সেবার নামে ব্যবসা শুরু করেছেন অন্তত ২০টি প্রতিষ্ঠান। স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্র জানায়, স্বাস্থ্য অধিদফতরের লাইসেন্স না পাওয়া পর্যন্ত হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার চালু করে ব্যবসা পরিচালনা করা সম্পূর্ণ অবৈধ এবং বেআইনি। কুমিল্লা জেলায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের লাইসেন্সপ্রাপ্ত বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডেন্টাল ক্লিনিক, ব্লাডব্যাংক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সংখ্যা রয়েছে ২৭৫টি। যার মধ্যে শুধুমাত্র কুমিল্লা নগরীতেই রয়েছে ১০৩টি। এছাড়া জেলার চান্দিনায় ১২টি, চৌদ্দগ্রামে ১০টি, বরুড়ায় ৮টি, নাঙ্গলকোটে ৪টি, সদর দক্ষিণে ৬টি, লাকসামে ১৭টি, মনোহরগঞ্জে একটি, হোমনায় ১০টি, মেঘনায় একটি, বুড়িচংয়ে ৭টি, ব্রাহ্মণপাড়ায় ৬টি, তিতাসে ১১টি, দেবিদ্বারে ১৩টি, মুরাদনগরে ২৩টি ও দাউদকান্দিতে ৩৯টি ক্লিনিক, হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার লাইসেন্স প্রাপ্ত রয়েছে। কিন্তু পুরো জেলার চিত্র দেখলে মনে হবে বৈধ প্রতিষ্ঠানের চেয়ে অবৈধরাই এগিয়ে রয়েছে। উপজেলাগুলোর সদর থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে প্রতিনিয়ত ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠেছে এসব অবৈধ ক্লিনিক-হাসপাতাল। জেলার দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর বাজার থেকে হোমনা সড়কে প্রায় ৫ কিলোমিটার এলাকার মধ্যেই অন্তত ৪০টি ক্লিনিক-হাসপাতাল গড়ে উঠেছে। যার বেশিরভাগেরই লাইসেন্স নেই। পুরো জেলার এসব অবৈধ হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বেশির ভাগেরই অবস্থা বেহাল। এসব প্রতিষ্ঠানে জেলা সিভিল সার্জন অফিস থেকে পরিদর্শনে গেলে প্রায়ই সন্ধান মিলে ভুয়া বিশেষজ্ঞ-সার্জারি চিকিৎসক, প্যাথলজিস্ট, সনোলজিস্ট, টেকনিশিয়ান ও নার্সের। আর জটিল রোগের অপারেশনে পিছিয়ে নেই বাহারি পদবীর এসব বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নামধারী ভুয়া ডাক্তাররা। এ সময় কুমিল্লা নগরীতে ৬টি, জেলার চান্দিনা উপজেলায় ৭টি, লাকসামে ২টি, দাউদকান্দি উপজেলার ২টিসহ মোট ১৭টি হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এছাড়া ওইদিন নগরীর রেসকোর্সে অবস্থিত বি. রহমান হাসপাতালটি ভুয়া ডাক্তার দিয়ে চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনা ও চরম অব্যবস্থাপনার জন্য বন্ধ করা হয় এবং রেসকোর্স এলাকার মিশন হাসপাতালের প্যাথলজির ফ্রিজে রক্ত রাখায় উক্ত প্রতিষ্ঠানের প্যাথলজি বিভাগের কার্যক্রমও বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© All rights reserved © 2019 Suchana Community TV
themebazsuchana231231