প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৯ হাজার। ১৯৫ টি দেশে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৪ লাখের বেশি মানুষ। করোনার উৎপত্তিস্থল চীনে সংক্রমণের গতি একেবারেই কম। তবে নতুন করে আক্রান্তদের বেশিরভাগই বিদেশফেরত হওয়ায় উদ্বিগ্ন চীনা কর্তৃপক্ষ। এদিকে চিকিৎসাকর্মীদের সুরক্ষার ওপর জোর দিতে আহ্বান জানিয়েছে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা। চীনে একেবারেই কমে এসেছে করোনায় সংক্রমণের গতি। এতে স্বাভাবিক হচ্ছে দেশটির জনজীবন। তবে নতুন করে আক্রান্তদের বেশিরভাগই বিদেশ ফেরত বলে জানানো হয়েছে। আর এ কারণেই উদ্বিগ্ন চীনা কর্তৃপক্ষ।তবে বিভিন্ন সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের পরও ইরানে মৃতের সংখ্যা বাড়ছেই। জীবাণুনাশক ছিটানো, নাগরিকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষাসহ নানা পদক্ষেপের পরও লাগামহীন ইরানের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি। এতে আতঙ্কিত দেশটির সাধারণ মানুষ।স্থানীয়রা বলছে, মানুষ বের হচ্ছে না বললেই চলে। জনসমাগম এড়াতে তারা অনলাইনে কেনাকাটা করছে। আর যারা দোকানে আসছেন তারাও, কয়েকদিনের সামগ্রী একসাথে কিনছেন।এছাড়াও আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা বাড়ছে সুইজারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়াম, দক্ষিণ কোরিয়াসহ বিভিন্ন দেশে। সাধারণ মানুষসহ আক্রান্ত হচ্ছেন চিকিৎসক এবং নার্সরা।এ অবস্থায় চিকিৎসাকর্মীদের সুরক্ষার কথা বলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। একইসঙ্গে নির্দেশনা মেনে চলতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংস্থার প্রধান।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান আধানম গ্যাব্রেয়েসুস বলেন, মহামারীর সময় নিজ ঘরে অবস্থান করতে আমি আবারো সবার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। করোনার বিরুদ্ধে জয়ী হতে কঠিন পদক্ষেপ নিতে হবে। সেইসঙ্গে চিকিৎসার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের নিরাপত্তার বিষয়টিও আমাদের ভাবতে হবে।করোনা মোকাবিলায় দুই লাখ কোটি ডলারের অর্থ বরাদ্দের বিষয়ে একমত হয়েছে হোয়াইট হাউস এবং মার্কিন সিটেন। আর জরুরী অবস্থা জারি করেছে নিউজিল্যান্ড।