২০২১ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। পরীক্ষায় গড়ে ৯৫.২৬ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে মোট ১ লাখ ৮৩ হাজার ৩৪০ জন।
এবার নয়টি সাধারণ বোর্ড এবং মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ডের ১৪ লাখ ৪ হাজার ২৪৪ জন পরীক্ষার্থীদের মধ্যে পাসের হার ৯৫.২৬ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৮৯ হাজার ১৬৯ জন। একজন ও শিক্ষার্থী পাস করেনি এমন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৫ টি।
রোববার সকালে রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউটে ফলাফল প্রকাশের মূল অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। গণভবন থেকে এ অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে সংবাদ সম্মেলন করে ফলাফলের বিস্তারিত তথ্য জানান শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
জানা গেছে, ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে পরীক্ষার্থী ছিল ১১ লাখ ৪০ হাজার ৬৮০ জন। পরীক্ষায় অংশ নেয় ১১ লাখ ১৫ হাজার ৭০৫ জন। পাস করেছে ১০ লাখ ৬৬ হাজার ২৪২ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৭৮ হাজার ৫২২ জন।
মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডে পরীক্ষার্থী ছিল ১ লাখ ১৩ হাজার ১৬৭ জন। পরীক্ষায় অংশ নেয় ১ লাখ ৬ হাজার ৫৭৯ জন। পাস করেছে ১ লাখ ১ হাজার ৭৬৮ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ হাজার ৮৭২ জন।
কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে পরীক্ষার্থী ছিল ১ লাখ ৪৯ হাজার ৩৯৭ জন। পরীক্ষায় অংশ নেয় ১ লাখ ৪৯ হাজার ৩৯৭ জন। পাস করেছে ১ লাখ ৩৮ হাজার ৭০৮ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫ হাজার ৭৭৫ জন।
যেভাবে জানা যাবে এইচএসসির ফল
শিক্ষার্থীরা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে গিয়ে ফল জানতে পারবে। এ ছাড়া মোবাইল ফোনে এসএমএসের মাধ্যমেও ফল জানা যাবে।
আটটি সাধারণ শিক্ষাবোর্ডের এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা মোবাইলের মাধ্যমে ফল পেতে HSC লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের প্রথম তিন অক্ষর লিখে আবার স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০২১ লিখবে। এরপর তা ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস আকারে পাঠাবে। ফিরতি এসএমএসে ফল জানানো হবে।
মাদরাসা বোর্ডের শিক্ষার্থীদের ফল জানতে HSC লিখে স্পেস দিয়ে MAD স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০২১ লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে। ফিরতি এসএমএসে ফল পাওয়া যাবে।
এছাড়া কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের ফল জানতে HSC লিখে স্পেস দিয়ে TEC লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০২১ লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে। ফিরতি এসএমএসে ফল জানিয়ে দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, করোনার কারণে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে নেয়া হয় ২০২১ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। এবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ১৩ লাখ ৯৯ হাজার পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। চলতি বছরের জানুয়ারির শেষ সপ্তাহ বা ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ফল প্রকাশের কথা থাকলেও দেশের বাইরের বিভিন্ন কেন্দ্রের খাতা মূল্যায়নে দেরি হয়।