ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মো. ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই বলেছেন, রাসূল (স.) এর আগমণের সাথে সাথে প্রচলিত জাহেলী সমাজের ভিত নড়ে গিয়েছিল। নবী (স.) এর দাওয়াত ছিল- জাহেলিয়াকে অস্বীকার করে ইসলামের ঝান্ডাকে উড্ডীন করা। অথচ- আজকে আধুনিক কায়দায় পশ্চিমাদের সংস্কৃতি আমদানী করা হয়েছে। ইসলামের বৃহৎ স্বার্থেই এদের সাথে কোন আপোষ করা যাবেনা। হাদিসের উদ্বৃতি দিয়ে তিনি বলেন, রাসূল স. বলছেন যে ব্যক্তি জাহেলিয়াতের দিকে মানুষকে ডাকবে সে জাহান্নামের লাকড়ি হবে। চাই সে নামাজ পড়–ক, রোজা রাখুক এবং বড় দ্বীনদার মুসলমান বলে মনে করুক না কেন? বুধবার বাদ জোহর চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর কারিমিয়া মাদ্রাসায় ওয়াজ মাহফিলে বয়ানে শায়খে চরমোনাই তা বলেন।মাহফিলে উপস্থিত হাজারো জনতার উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমি আজ কোরআন হাদিসের কথা বলার জন্য আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। শুধু বলেই যাবো কোরআন হাদিসের কথা। মানানোর জন্য আমি আসি নাই। এ দায়িত্ব আমার নয়। আমার দায়িত্ব হল কোরআন-হাদীসের বাণী আপনাদের কাছে পৌছে দেওয়া। তিনি কোরআনের উদ্বৃতি দিয়ে বলেন, যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তার রাসূলের পূর্ণ আনুগত্য করবে আল্লাহ পাক তাকে তলদেশের নহর প্রবাহমান জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। তারা অনন্তকাল তাতে অবস্থান করবে- । এখন মুসলমানদেরকে নেতা নির্বাচনের ক্ষেত্রে গভীরভাবে চিন্তা করতে হবে। সে কি রাসূল সা.কে নেতা মেনে নিবে, তার নেতৃত্ব আদর্শ মেনে নিবে নাকি সমাজতন্ত্র, পুজিবাদ, জাতীয়তাবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতা প্রবক্তাদের নেতা মেনে নিবে।