ইলিশ মাছের বিস্তার ঘটানোর কাজে বাধা দিলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে । ‘ইলিশ সম্পদ উন্নয়নে বাধা দিলে দুর্বৃত্তদের প্রতি ন্যূনতম অনুকম্পা দেখানো হবে না। মা-ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান সবাই মিলে সফল করতে হবে। ‘ইলিশের যাতে বিস্তার ঘটে, মা-ইলিশ যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, ইলিশ আহরণের পরিসর যাতে আরও বাড়ানো যায় সেজন্য মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তা, আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা, বিশেষ করে পুলিশ, র্যাব, কোস্টগার্ড, নৌবাহিনী, বিমান বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ভূমিকা রাখতে হবে।বুধবার (১৪ অক্টোবর) মা ইলিশ রক্ষা কার্যক্রম পরিদর্শনকালে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার মোহনপুরে লঞ্চ থেকে বক্তব্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী এডভোকেট শ ম রেজাউল করিম এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার অপ্রতিরোদ্ধ গতিতে এগিয়ে চলছেন,এগিয়ে চলছে বাংলাদেশ। প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা যতদিন বেচেঁ থাকবেন এ দেশের মানুষ না খেয়ে মরবে না। ‘ইলিশের উৎপাদন এ বছর অভাবনীয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই বিপ্লবের । এই সাফল্যের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। তিনি বলেন,মৎস্য আহরণে বিরত থাকা মৎস্যজীবীদের জন্য ইতোমধ্যে ভিজিএফ চাল মাঠ পর্যায়ে পৌঁছে গেছে।’এ সময় উপস্থিত ছিলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব রওনক মাহমুদ, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শামস আফরোজ, মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউট মহাপরিচালক ইয়াহিয়া মাহমুদ, নৌ পুলিশ ডিআইজি আতিকুল ইসলাম পিপিএম, চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মাজেদুর রহমান, চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান, নৌ পুলিশ সুপার খন্দকার ফরিদুল ইসলাম, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আসাদুল হক, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ কুদ্দুস, উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্নেহাশিস দাশ, এএসপি (মতলব সার্কেল) আহসান হাবিব, মতলব উত্তর উপজেলা সহকারী কমিশনার হাবিবা আফরোজ শাপলা, মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ নাসির উদ্দিন মৃধা, মতলব উত্তর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মনোয়ারা বেগম, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহিনা আকতার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহজাহান প্রধান, আওয়ামীলীগ নেতা কাজি মিজানুর রহমান প্রমুখ। ১৪ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে ইলিশ আহরণ, পরিবহন, বিপণন ও মজুত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।