আজ রবিবার উপমহাদেশের প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ১২৮তম জন্মদিন। ১৮৯২ সালের ৮ সেপ্টেম্বর পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুরে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।১৯৪৬-৪৭ সালে অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা সোহরাওয়ার্দী ব্রিটিশ ও পাকিস্তান আমলে রাজনীতিতে নানা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় ছিলেন। ১৯৫৬-৫৭ সালে তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সোহরাওয়ার্দী অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসসি (সম্মান) ও বিসিএল ডিগ্রি অর্জনের পাশাপাশি লন্ডনের গ্রেইজ ইন থেকে ব্যারিস্টারি পাস করেন। ১৯২০ সালে ভারতে ফিরে রাজনীতিতে যুক্ত হন। মুসলিম লীগকে শক্ত ভিতের ওপর দাঁড় করানোয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন সোহরাওয়ার্দী। ১৯৩৭-৪৩ সাল পর্যন্ত তিনি ছিলেন বঙ্গীয় মুসলিম লীগের সাধারণ সম্পাদক। ১৯৪৯ সালে পাকিস্তানের প্রথম ও প্রধান বিরোধী দল আওয়ামী মুসলিম লীগ (পরবর্তীকালে আওয়ামী লীগ) গঠনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেন সোহরাওয়ার্দী। মুসলিম লীগকে হারিয়ে ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের ঐতিহাসিক জয়ের পেছনেও ভূমিকা ছিল তার। গুণী এই রাজনীতিক ১৯২১ থেকে ১৯৫৮ সালের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভা এবং পাকিস্তান গণপরিষদের সদস্য ছিলেন। এ সময় দায়িত্ব পালন করেন বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে। ১৯২৪ সালে কলকাতা করপোরেশনের ডেপুটি মেয়র, ১৯৩৭ সালের নির্বাচনোত্তর ফজলুল হকের কোয়ালিশন মন্ত্রিসভার শ্রম ও বাণিজ্যমন্ত্রী, ১৯৪৩-৪৫ সালে খাজা নাজিমুদ্দীনের মন্ত্রিসভায় বেসামরিক সরবরাহ মন্ত্রী, পাকিস্তান আমলে ১৯৫৪-৫৫ সালে মোহাম্মদ আলীর মন্ত্রিসভায় আইনমন্ত্রী ছিলেন। পরে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হন। ১৯৬৩ সালের ৫ ডিসেম্বর লেবাননের রাজধানী বৈরুতে অবস্থানকালে তিনি মারা যান। ঢাকায় তারই নামে নামকরণ করা উদ্যানে এ রাজনীতিকের কবর রয়েছে।