বর্তমান অস্বাভাবিক সরকারের লাগামহীন দূর্নীতির কালো-বিড়াল বেরিয়ে আসছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সিনিয়র সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড.খন্দকার মোশাররফ হোসেন। ২১ সেপ্টেম্বর শনিবার সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে কারাবন্দী বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে এইসব কথা বলেন। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ওলামা দল এই কর্মসূচীর আয়োজন করে। বিএনপির নীতি-নির্ধারক নেতা ড.মোশাররফ বলেন, সরকারের সকল পর্যায়ের নেতারা দেদারসে দূর্নীতি, লুটপাট করছে। কোথাও কোনো রাখঢাক নেই। এখন আ.লীগের নেতারাই বলছে, তাদের বড় বড় নেতারাও দূর্নীতি অনিয়মে জড়িত রয়েছে। তিনি বলেন, সরকারের কোথাও কোন নিয়ন্ত্রণ নেই। জবাবদিহিতা নেই। যে যার মতো জনগণের সম্পদ লুটপাট করে নিয়ে যাচ্ছে। একটি দেশে এইভাবে লাগামহীন অনিয়ম, দূর্নীতি,লুটপাট চলতে পারে না, চলতে দেয়া যায় না। কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারের সকল অপকর্মের অবসান ঘটাতে হবে। সরকারের হস্তক্ষেপের কারণে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জামিন হচ্ছে না উল্লেখ করে ড. মোশাররফ বলেন, বেগম খালেদা জিয়া বন্দী মানে হচ্ছে- দেশের গণতন্ত্র বন্দী। তিনি গণতন্ত্রের মাতা। খালেদা জিয়া জেলের বাইরে থাকলে আ.লীগ নেতারা এইভাবে জনগণের সম্পদ লুটতরাজ করতে পারবে না বলেই তাঁকে অন্যায়ভাবে কারাবন্দী করে রেখেছে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার মাধ্যমে সরকারের লুটপাটের কবল থেকে বাংলাদেশ এবং গণতন্ত্রকে রক্ষার জন্য কঠোর আন্দোলনের প্রস্তুতি নিতে ড.মোশাররফ দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রতি উদাত্ত আহবান জানান। আয়োজক সংগঠনের সভাপতি মাওলানা মোহাম্মদ নেসারুল হকের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন, বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ও খায়রুল কবির খোকন, ওলামা দলের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম ও স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহ্ প্রমুখ।