কুমিল্লা জেলা মেঘনা উপজেলার ব্রাহ্মণচর নোয়াগাঁও আলিম মাদরাসার ২য় চক্রে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকরা যেন এক হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন । বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এমপিও মাদরাসায় শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেও বেতন না পেয়ে মানবেতর জীবন পার করছেন দ্বিতীয় ধাপে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকরা। তারা অনেকেই তাদের সমস্যার জন্য মাদরাসার কর্তৃপক্ষকে দায়ী করেছেন। তারা জানান আমাদের এমপিও বেতনভুক্ত না হওয়ার পেছনে মাদরাসার অবহেলা বেশি ছিলো। চলমান করোনা ভাইরাসে এমপিও ভুক্ত স্কুল,কলেজ,মাদরাসার প্রতিষ্ঠানগুলো ঘরে বসে বেতন পেলেও আমার আজ তা থেকে বঞ্চিত।
অথচ আমরা এনটিআরসিএর মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক হওয়ার শর্তেও এমপিভূক্ত বেতন থেকে বঞ্চিত হয়ে মানবেতর জীবন কাটাতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। ঈদ বোনাস বা উৎসব ভাতা সবাই পেলেও আমরা যেন শিক্ষক হয়েছি তা শুধু চেয়ে চেয়ে দেখবার জন্য। মাদরাসার ভূক্তভোগী শিক্ষকরা জানান কী আজব দেশটারে ভাই, কারও বেতন আছে কারও নাই’,‘নিয়োগ আছে, বেতন নাই, এক পদের জায়গায় অন্য পদে রিকুইজিশন, একটিমাত্র পদের জন্য একাধিক প্রার্থী রিকুইজিশন, নারী কোটায় ভুল রিকুইজিশনে পুরুষ প্রার্থীকে সুপারিশ করায় বেতন ছাড়া চাকরি করার এই সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন তারা। এনটিআরসিএ কর্তৃক সুপারিশকৃত শিক্ষকদের সঠিক পদে যোগদান এবং যথাযথ এমপিওভুক্তির দাবি জানান তারা। বলেন, এদেশে একমাত্র প্রধানমন্ত্রী ছাড়া কোনো নেতৃস্থানীয়রাই তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করছে না। তাই মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর দেয়া অনুদান থেকে এমপিও বঞ্চিত শিক্ষকদের স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানে এমপিও বহাল করে বকেয়াসহ সকল সুযোগ সুবিধা প্রদানে সু- দৃষ্টি কামনা করছেন মাদরাসার এমপিও বঞ্চিত শিক্ষকরা। শিক্ষকরা জানান, এমপিওভুক্ত হিসেবে এনটিআরসিএ সুপারিশ করার পর আমরা শিক্ষক হিসেবে যোগদান করি। কিন্তু নানান বিশৃঙ্খলার কারণে বেতন পাচ্ছি না। এটি খুবই দুঃখের বিষয়। চাকরি পেয়েও বেকার অবস্থায় জীবনযাপন করছি। আমরা শিক্ষকরা চরম হতাশায় দিন কাটাচ্ছি। সংসারের হাল ধরতে প্রতিষ্ঠানটিতে চাকরি নেন শিক্ষকরা। ভেবেছিলেন একদিন সুখের মুখ দেখবেন। কিন্তু চাকরি জীবনের বেশিরভাগ সময় অতিক্রান্ত হলেও সুখপাখির দেখা মেলেনি। নিজের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানোর মতোই ছড়িয়ে যাচ্ছেন জ্ঞানের আলো।