দাউদকান্দি পৌরসভা নির্বাচনে হাওয়া লেগেছে নৌকার পালে, তবে দোল লাগেনি ধানের শীষে। একদিকে জেলা, উপজেলা ও কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রচারণা অন্যদিকে গত পাচঁ বছরের দৃশ্যমান অবকাঠামোর উন্নয়ন নৌকার পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে “পৌর পিতার” আসন “অলঙ্কিত” করার পথে রয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী বর্তমান পৌর মেয়র নাইম ইউসুফ সেইন। ফের আগামী ৫ বছরের জন্য তিনিই যে পৌরবাসীর অবিভাভকের আসনে বসছেন ভোটারদের মুখে এটা অনেকটাই নিশ্চিত হওয়া গেছে। অন্যদিকে দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপির এখানে সাংগঠনিক ভিত না থাকায় প্রচার প্রচারণায় তেমন সারা পড়েনি ভোটারদের মাঝে। নৌকার পক্ষে বিরামহীন ভাবে বৈচিত্রময় প্রচার-প্রচারণায় আওয়ামী লীগের তৃনমূল থেকে শুরু করে উপজেলা, জেলা ও কেন্দ্রীয় “তারকা”নেতাদের ব্যাপক অংশগ্রহণ ভোটারদের হৃদয় স্পর্শ করেছে। তারা ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে এটা বুঝাতে সম্মত হয়েছেন যে নৌকা জিতলে পৌরসভাতে আরো ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়িত হবে। তাদের কাছ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ উন্নয়ন বার্তা পেয়ে উন্নয়নের স্বপ্নে বিভোর পৌরবাসী উন্নয়নের স্বার্থে শেষ পর্যন্ত দলমত নির্বিশেষে সবাই নৌকার পক্ষে ঝুঁকে পড়েছেন। আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী নাইম ইউসুফ সেইন বিজয়ের “দ্বার প্রান্তে” থাকার বিষয়টি ভোটারদের মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতিটি পাড়া-মহল্লার মোড়ের চায়ের দোকান থেকে শুরু করে রাজনৈতিক কার্যালয় ও অফিস পাড়ায় সর্বত্র আড্ডা-আলাপে সেইনের বিজয়ের দ্বার প্রান্তে থাকার বিষয়টি সমধিক আলোচিত হচ্ছে। ভোটারদের সাথে কথা হলে তারা বলেন, আমাদের প্রয়োজন উন্নয়ন। সরকারি দলের প্রার্থী পাশ করলে আমাদের জন্য বেশি বেশি কাজ করতে পারবেন। উন্নয়নের জন্য নানা ধরণের প্রকল্প এবং অর্থ বরাদ্দ আনতে পারবেন। বিগত বিশ বছরের তুলনায় গত পাঁচ বছরে আমরা কয়েকগুন উন্নয়ন পেয়েছি। আর করোনাকালীন সময়ে আমাদেরকে করোনা উপকরণ ও খাদ্য সামগ্রী দিয়ে সহযোগিতা করার পাশাপাশি যে সাহস দিয়েছে তা ভুলার নয়। তাই উন্নয়নের জন্যই আওয়ামীলীগের প্রার্থী বর্তমান মেয়র নাইম ইউসুফ সেইনকে আবারো আমরা ভোট দিবো। অনেকেই মন্তব্য করছেন এখন শুধু সেইনের শপথ নেওয়ার দৃশ্য দেখার অপেক্ষায় রয়েছে পৌরবাসী। নগরীর ৯টি ওয়ার্ডে ঘুরে দিন মজুর থেকে শুরু করে নানা শ্রেণী পেশার ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে গণরায় যে নৌকার পক্ষে যাচ্ছে তার পুর্বাভাস পাওয়া গেছে। নাইম ইউসুফ সেইন বলেন, করোনাকালীন সময়ে প্রতিটি দরজায় গিয়েছি। এখন যেখানেই যাচ্ছি ভোটারদের ব্যপক সাড়া পাচ্ছি। একটা বিষয় লক্ষনীয় যে, এলাকায় যাওয়ার পর নারী পুরুষ সবাই আমাকে দেখে বাইরে চলে আসছে। ভোটারদের ভালোবাসায় আমি আমাকে বলে ভোটের জন্য আপনার এলাকায় আসার দরকার নাই। কারণ গত পাঁচ বছরে আমি মেয়র থাকা অবস্থায় দাউদকান্দিকে মডেল পৌরসভা গড়ার লক্ষে কাজ করেছি। চোখে পড়ার মতো অবকাঠামো উন্নয়ন করেছি। প্রতিটি ওয়ার্ডের উন্নয়ন আজ দৃশ্যমান । করোনাকালীন সময়ে কর্মহীন হয়ে পড়া পৌরবাসীদের ঘরে ঘরে খাদ্যসামগ্রী পৌছে দিয়েছি। চতুর্থ ধাপে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারী দাউদকান্দি পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এবারই প্রথম এখানে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে। এখানে মোট ভোটার সংখ্যা ৩১ হাজার ৫৪২। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ১৫ হাজার ৬০২ জন এবং মহিলা ভোটার ১৫ হাজার ৯৪০ জন।