করোনা পরিস্থিতিতে সারা দেশে গণপরিবহনের স্বাভাবিক অবস্থা ফিরলেও অরাজকতার শেষ নেই। না আছে নিয়মের লেশ না আছে স্বাস্থ্যবিধির বালাই। মাইক্রোবাস লোকাল সার্ভিসের নামে যাত্রী চাপের সঙ্গে বেড়েছে অনিয়মের অভিযোগও। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ৫০ শতাংশ আসন খালি রাখার যে নিয়ম চালু করা হয়েছিল সেটি বর্তমানে মূলত ভেঙে পড়েছে। কুমিল্লা দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে আমিরাবাদ পর্যন্ত ১ কিলোমিটারের রাস্তায় গাড়ীতে যাওয়া মাত্র ১ মিনিটে । পায়ে হেটে যাওয়া যায় ১৩ মিনিটে, রাস্তার ভাড়া যেখানে ৫টাকা থাকার কথা সেইখানে নেওয়া হচ্ছে ১০টাকা । এ নিয়ে যাত্রীদের ক্ষোভ বাড়ছে, অতিরিক্ত ভাড়া নিয়ে যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকদের মধ্যে ঘটছে একে অপরের দোষারোপ। যাত্রীরা বলছেন, মাইক্রোবাস চালকদের কাছে আমরা জিম্মি। যাত্রীদের গাড়ীতে বসার ঠাঁই না হলে বসতে বাধ্য করা হচ্ছে কখনো কখনো দাড়িয়ে নেওয় হচ্ছে ।
তবে মাইক্রোবাস চালকদের কথা উল্টো তারা বলছেন গ্যাসের দাম বেশি হওয়ায় ১০টাকা বাড়া নিতে হচ্ছে তাছাড়া আনুসাঙ্গিক খরচও বেশি । যাত্রী বেশি নেওয়ার অভিযোগটি সঠিক নয় বলে তারা জানান ।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্র্তৃপক্ষ (বিআরটিএ), ট্রাফিক পুলিশ, জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো এ ব্যাপারে যথাযথ দায়িত্ব পালন করলে নিশ্চয়ই এর প্রতিকার পাবেন বলেন মনে করছেন যাত্রীরা ।