১৫ জুলাই সোমবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে কুমিল্লা কোর্টে এসেছিলেন একটি মামলার স্বাক্ষীতে বাঙ্গরা বাজার থানায় কর্মরত এএসআই ফিরোজ আহমেদ । অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৩য় আদালতে জেলার মনোহরগঞ্জ থানার একটি হত্যা মামলার বিচারিক কার্যক্রম চলছিল। এসময় ওই হত্যা মামলার আসামি হাসান হঠাৎ করে তার সহযোগি আসামি ফারুককে ছুরিকাঘাত করে। এতে ফারুক নিরুপায় হয়ে দ্রৌঁড়ে বিচারকের খাস কামরায় গিয়ে আশ্রয় নেয়। এসময় হাসান দ্রৌঁড়ে ওই কামরায় গিয়ে ফারুককে আবারও উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করলে সে ফ্লোরে লুটিয়ে পড়ে। এসময় আদালতে আতষ্ক ছড়িয়ে পড়লে বাঙ্গরা বাজার থানার এএসআই ফিরোজ আহমেদ কর্তব্যের কাছে জীবনকে তুচ্ছ মনে করে আদালতে ঘৃনিত ঘটনায় জীবন বাজি রেখে ঘাতককে ঝাপটে ধরেন। সবাই যখন নির্ভীক ভাবে তাকিয়ে রয়েছেন। ওই সময়ে তার অদম্য অসীম সাহসী ভুমিকার কারনেই ঘাতক আর কোন হতাহতের ঘটনা ঘটাতে পারেনি। এএসআই ফিরোজ গৌরীপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে কর্মরত থাকাকালেও ব্যাপক সফলতার সাথে তার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করে সর্বমহলে প্রসংশনীয় হয়েছেন। আদালত এজলাসে সর্বপ্রথম সাহসীকতার সাথে ঘাতক হাসানকে আটকে আবারও সর্ব মহলে প্রসংশনীয় হয়ে পুলিশের ভার্বমূর্তি উজ্জল করেছেন তিনি। ইতিমধ্যে এএসআই ফিরোজের এই সাহসিকতার দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।